রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
ঢাকা : দেশবাসীকে খ্রিস্টীয় নববর্ষের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পৃথক বাণীতে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি নতুন বছর সবার জীবনে অনাবিল সুখ শান্তি সমৃদ্ধি, আনন্দ ও কল্যাণ বয়ে আনবে বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন তারা।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে খ্রিস্টীয় নববর্ষ দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে প্রত্যাশা পূরণে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, বাংলা নববর্ষ জাতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত থাকলেও ব্যবহারিক জীবনে ইংরেজি বর্ষপঞ্জিকা বহুল ব্যবহৃত হওয়ায় খ্রিষ্টীয় নববর্ষ সকলকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে। কালের বিবর্তনে খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উদযাপন জাতীয় সংস্কৃতির সাথে গভীরভাবে সম্পৃক্ত।
তিনি আরো বলেন, দেশব্যাপী নানা আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে নতুন বছরকে বরণ করা হয়। সকলের মাঝে জাগে প্রাণের নতুন স্পন্দন। কোন ধরনের অপসংস্কৃতি যেন আমাদের এই আনন্দধারাকে ব্যাহত করতে না পারে সে লক্ষ্যে সকলকে সজাগ থাকতে হবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বিগত বছরের সকল অকল্যাণ ও ব্যর্থতার গ্লানি মুছে নতুন বছর সবার জন্য বয়ে আনুক সমৃদ্ধি ও বিজয়ের বাণী-এ কামনা করি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গতবছর ছিল বাংলাদেশের জন্য সাফল্যময় বছর। প্রাকৃতিক পরিবেশরক্ষা করে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য জাতিসংঘ তাকে পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’ পুরস্কারে ভূষিত এবং তথ্যপ্রযুক্তি প্রসারের জন্য আইটিইউ প্রদান করেছে।
তিনি বলেন, পরনির্ভরশীল অর্থনীতির চক্রভেঙে আজ আমরা আত্মনির্ভরশীল অর্থনীতির দ্বারপ্রান্তে। নিজস্ব অর্থায়নে ৩০ হাজার কোটি টাকার পদ্মাসেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। ডিসেম্বরে মূলসেতুর কাজ শুরু হয়েছে।
পাঁচ দশকের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশ ৩২তম পরমাণু ক্লাবে প্রবেশ করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, রাশিয়ার সহায়তায় এক লাখ এক হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্প ‘রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র’ স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশ নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। বৈশ্বিক শান্তিসূচক, ক্ষুধাসূচক, খাদ্যসূচক, লিঙ্গ-বৈষম্যসূচক, শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার, বৈশ্বিক সমৃদ্ধিসূচক, বিশ্বগণমাধ্যম সূচকসহ সকলক্ষেত্রে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে এবং অনেকক্ষেত্রে ভারতের চাইতে বাংলাদেশের অবস্থান ভাল।
নতুনের আহ্বানে পুরাতন বছরের সব জঞ্জাল ধুয়ে-মুছে যাক এই প্রত্যাশা জানিয়ে তিনি নতুন বছর সবার জীবনে অনাবিল সুখ, সমৃদ্ধি ও শান্তি বয়ে আনার জন্য মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা করেন।
১ জানুয়ারি, ২০১৬/এমটি নিউজ২৪ডটকম/এসএম/ডিআরএ