নাহিদ হাসান, ঢাকা: আগামীতে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের অটোপাসের সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকার চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
চেয়ারম্যান বলেন, ‘ইতোমধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলার জন্য পরিচ্ছন্নতাসহ সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির যেভাবে উন্নতি হচ্ছে এই ধারা অব্যাহত থাকলে শিগগিরই ক্লাসে ফেরা সম্ভব হবে। অটোপাসের চিন্তা না করে শিক্ষার্থীদের পড়ায় মনোযোগী হতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘অটোপাস দেয়ার সুযোগ নেই। পরীক্ষা হবেই, তবে সিলেবাস কমানো হচ্ছে। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের আলোকে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হবে।’
দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার যে ক্ষতি হচ্ছে তার চাইতে শিক্ষার্থীদের মানসিক ক্ষতি বেশি হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ছেলে-মেয়েরা মানসিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এতদিন খোলা সম্ভব ছিল না। স্বাস্থ্যবিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটির সুপারিশক্রমেই দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। করোনা সংক্রমণের হার যেহেতু কমছে আর করোনা টিকা প্রয়োগ শুরু হয়েছে, দ্রুতই অবস্থার পরিবর্তন হবে বলে আশা করছি।’
ক্লাস খোলাবিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে প্রথমে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হবে। শিক্ষার্থী সংখ্যা হিসাব করে প্রতি কক্ষে ধারণক্ষমতার চেয়ে কম সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে ক্লাস নেয়া হবে। যাতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়। এসব বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এসব নির্দেশনা না মানলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ছুটিতে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে প্রতিষ্ঠান খুললে কোনো কোনো শিক্ষার্থী ক্লাসে আসছে না, তাদের তালিকা করে কীভাবে তাদের ক্লাসে ফিরিয়ে আনা যায় সেসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।’-জাগো নিউজ