নিউজ ডেস্ক : প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলার রায় শুনে কাঁদলেন তার স্ত্রী রাজিয়া রহমান। রায়ে সন্তুষ্ট কিনা জানাতে চাইলে গণমাধ্যমের কাছে তিনি কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দীপন হত্যা মামলায় ৮ আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এ আদেশ দেন।
এর আগে দুপুর ১২টা ২ মিনিটে ৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া শুরু হয়। রায় শুনতে আদালতে দীপনের স্ত্রী রাজিয়া রহমানসহ আরও দুই স্বজন হাজির ছিলেন। বেলা ১১টা ২০ মিনিটে আদালতের হাজতখানা থেকে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে আসামিদের হাজির করা হয়। গত ২৪ জানুয়ারি উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য এ তারিখ নির্ধারণ করেন আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো, মেজর (বরখাস্তকৃত) সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ, মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান, আবদুর সবুর সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে স্বাদ, খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে জিসান, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার এবং শেখ আবদুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের। এদের মধ্যে প্রথম দু'জন পলাতক রয়েছেন।
এই মামলায় ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটের নিজ অফিসে দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। সেদিন বিকালে তার স্ত্রী শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। চার্জশিটে ৮ জনকে অভিযুক্ত ও ১১ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।