এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : চাঁদপুরে বিএনপির সহযোগী সংগঠনের বিবাদমান দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে অনন্ত অর্ধশত মানুষ আহত হয়েছে। জেলার হাজীগঞ্জ বাজারে শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় বাজারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে।
এদিন সন্ধ্যায় সংঘর্ষে দুই পক্ষের মধ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। এ সময় দুই পক্ষের আহতদের কুমিল্লা ও চাঁদপুরের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। রাত পৌঁনে ১২টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কেউ নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
হাজীগঞ্জ পৌরসভার খাট্টাবিলওয়াই এলাকার মো. ইউনুসের ছেলে সায়মুনকে (১৬) আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মকিমাবাদ এলাকার সর্দার বাড়ির সালাহউদ্দিন আক্তার হোসেন এবং পাশের টোরাগড় এলাকার মিজানুর রহমান সেলিম—এই দুই পক্ষ এলাকার আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়।
অন্যদিকে স্থানীয় কয়েকটি সূত্র পরস্পরবিরোধী তথ্য জানিয়েছে। কেউ বলছেন ইভটিজিং, আবার কেউ বলছেন হাজীগঞ্জ বাজারে চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে এমন সংঘর্ষ হয়েছে। উভয় পক্ষই স্থানীয় বিএনপির শীর্ষ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হকের অনুসারী এবং জাতীয়তাবাদী যুবদলের নেতৃস্থানীয়।
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, রাত ১১টার পর সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এ ছাড়া সংঘর্ষের সংবাদ শোনার পর ঘটনাস্থলে যান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন, চাঁদপুরের দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর লে. কর্নেল মোয়াজ্জেম হোসেন, পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায়।
পুলিশ সুপার রকিব জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতদের আটকে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলছে। সহিংসতায় যারাই জড়িত হোক না কেন কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।