শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৪২:৪৮

বাংলাদেশ আমদানি না করলে পথে বসবে ভারতীয় শুঁটকি ব্যবসায়ীরা

 বাংলাদেশ আমদানি না করলে পথে বসবে ভারতীয় শুঁটকি ব্যবসায়ীরা

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। তখন থেকেই বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের অবনতি দেখা দেয়। 

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বৈরী সম্পর্কের প্রভাব দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্কে তেমন একটা পড়েনি। তবে সম্পর্কের গতিপ্রকৃতি যেভাবে নিম্নমুখী, তাতে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ভারতের ব্যবসায়ীরা।

শুধু কলকাতার নিউমার্কেটের হোটেল রেস্তোরাঁ কিংবা, চেন্নাইয়ের হাসপাতাল নয়। এবার পথে বসে যাওয়ার আশঙ্কায করছেন সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের শুঁটকি মাছ ব্যবসায়ীরা।

শীতের মৌসুম শুরু হতেই পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় এলাকার ক্যানিং, নামখানা, বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ থেকে দীঘা শংকরপুরের একাধিক এলাকায় শুঁটকি মাছের উৎপাদনের তোড়জোড় শুরু হয়। আমেদি, লোটে, ছুরি, রুপালি, চিংড়িসহ একাধিক মাছ শুকানোর কাজ চলে এ সময়। এপার বাংলার অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে এসব মাছ রপ্তানি করা হয় ভারতের ত্রিপুরা ও আসাম রাজ্যের কিছু অংশে। তবে ভারতের দেশীয় বাজারে চাহিয়া খুব বেশি না থাকায় এই মাছের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রপ্তানি হতো বাংলাদেশে।

বাংলাদেশের সাথে সাম্প্রতিক ভারতের বৈরী সম্পর্ক রীতিমত চিন্তায় ফেলেছে এসব এলাকার শুঁটকি মাছের ব্যবসায়ীদের। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের টানাপোড়েনে নতুন অর্ডারের চাপ না থাকায় একরকম মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের।

শুঁটকি মাছ ব্যবসায়ীরা বলছেন, দুই দেশের সম্পর্কের জটিলতার কারণে অর্ডারের পরিমাণ কমে গেছে। বকখালি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক দীনেশ সরদার, ব্যবসায়ী স্বপন দাস বলেন, ‘‘মৌসুম শুরু হলেও এখনো বাংলাদেশের থেকে পর্যাপ্ত অর্ডার আসেনি। বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কে একচেটিয়া লাভবান হয় ভারত। উপকূলীয় এলাকায় একেকটি গ্রামের শত শত পরিবার এই শুঁটকি মাছের ওপর অর্থনৈতিকভাবে নির্ভরশীল। সব সিজনে রপ্তানির মাধ্যমে আয় হয় শত শত কোটি রুপি। ফলে নতুন বাজার না পাওয়ার আগেই বাংলাদেশের রপ্তানি বন্ধ হলে অর্থনৈতিকভাবে বিপদের মুখে পড়বে এসব পরিবার।”

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে