এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ‘নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইনানকে কিছুক্ষণ আগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে’- শীর্ষক একটি দাবি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।
তবে শনিবার ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইনানকে গ্রেপ্তারের দাবিটি সঠিক নয়। বরং কোনো তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হচ্ছে।
প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে গণমাধ্যম কিংবা বিশ্বস্ত সূত্রে ইনানের বিষয়ে এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর তরফ থেকেও এমন কোনো তথ্য জানানো হয়নি।
তবে ২১ জানুয়ারি দৈনিক জনকণ্ঠে প্রকাশিত, “নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ইনান ‘র’-এর তত্ত্বাবধানে!’ শীর্ষক একটি সংবাদ পাওয়া যায়। এই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ইনানের অবস্থান এখন ভারতে। তবে এই বিষয়ে অন্য কোনো গণমাধ্যমে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। জনকণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদনেও নির্দিষ্ট কোনো সূত্র বা প্রমাণ দেওয়া হয়নি।”
জানা যায়, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে আড়ালে রয়েছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা। তাদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত গ্রেপ্তার হলেও কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের অবস্থান সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৩ অক্টোবর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সুতরাং নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইনানকে গ্রেপ্তারের দাবিটি ভিত্তিহীন ও ভুয়া।