এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির মধ্যদিয়ে মূলত নিজের অজান্তেই পরাজিত শক্তির সুযোগ বাড়ানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত জাতীয় শিক্ষক দিবস ও শিক্ষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লন্ডন থেকে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
তারেক রহমান বলেন, নতুন রাজনৈতিক দল গঠনকে স্বাগত জানায় বিএনপি, তবে কেউ রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দল গঠন করতে গিয়ে সরকার ও প্রশাসনের সহযোগিতা নিলে জনগণ হতাশ হবে।
এ সময় বিএনপি সংস্কার ও নির্বাচন দুটোরই পক্ষে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বিএনপি সংস্কার ও নির্বাচন দুটোরই পক্ষে। তবে সংস্কার না নির্বাচন এ নিয়ে কেউ কেউ কূটতর্ক শুরু করেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কারের সঙ্গে আমাদের দেয়া ৩১ দফার দুই-একটি ছাড়া সবই মিল রয়েছে।
এ সময় মানুষের জীবনযাত্রা ও বাজার পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন তিনি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘সংস্কারের চাইতে সংসার পরিচালনা করা বেশি জরুরি হয়ে পড়েছে। দ্রব্যমূল্যের যে অবস্থা তাতে নিন্মবিত্তের সংসার টেকানো দায় হয়ে গেছে। বাজার সিন্ডিকেটের কবল থেকে জনগণকে মুক্ত করা সম্ভব এই সরকারের কাছে।
কিন্তু জনমনে প্রশ্ন উঠেছে কেন বাজার নিয়ন্ত্রণ করে দ্রব্যমূল্য কমাতে পারছে না বর্তমান সরকার। তাদের প্রশ্ন সরকারের কেউ কেউ অন্য ইস্যুতে বেশি মনোযোগী, নাকি সরকার পারছে না?’
তারেক রহমানের অভিযোগ, পলাতক সরকার রাষ্ট্রীয় সংবিধানকে দলীয় সংবিধানে পরিণত করেছিল। নির্বাচন কমিশন দুদকসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করেছে পতিত আওয়ামী লীগ।
দেশের উন্নয়নে জ্ঞান ভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলার আশ্বাস দিয়ে তিনি আরও বলেন, জনগণের সমর্থন নিয়ে বিএনপি সরকার গঠন করলে শিক্ষা কমিশন গঠন করা হবে।
দলটির অন্য নেতারা বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে এক এগারোর সরকারের ছায়া দেখা যাচ্ছে। আন্দোলনে নামতে চায় না বিএনপি, কিন্তু নির্বাচন আদায়ে প্রয়োজনে আবারও রাস্তায় নামবেন তারা, এমন হুঁশিয়ারিও ছিল বিএনপি নেতাদের।
এদিকে জাতীয় শিক্ষক দিবস ও সম্মেলন এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেন সারা দেশ থেকে আসা শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মচারীরা।