এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেছেন, “১৪ জুলাই আমাদের সিনিয়র নায়েবে আমির একটি সতর্কতামূলক বক্তব্য দিয়েছিলেন।
সেটিকে খণ্ডিতভাবে প্রচার করে আধ্যাত্মিক ধারার অনুসারীদের বিরুদ্ধে রাজপথে নোংরা স্লোগান দেওয়া হয়েছে। বিএনপির মঞ্চ থেকে চরমোনাইকে টার্গেট করে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। রাজনীতিতে এই বিদ্বেষ ও প্রতিহিংসা বিএনপির মতো দলের জন্য শোভন নয়।”
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ আজ এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে।১৫ বছরের পতিত ফ্যাসিবাদের বিষাক্ত ছোয়া এখনো সমাজ ও রাষ্ট্রকে অনিরাপদ করে রেখেছে। রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে শালীনতা ও সহনশীলতা না থাকলে সেই ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।”
তিনি আরো বলেন, “৫ আগস্টের পর সবাই সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা মেনে নিয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক দলের চরিত্র ও সংস্কৃতিতে এখনো তেমন পরিবর্তন আসেনি। বরং চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও রাজনৈতিক হানাহানি আরো বেড়েছে। মিটফোর্ডের সামনে একজন মানুষকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তা শুধু বর্বরতাই নয় দেশের রাজনৈতিক বিবেকের পরাজয়।”
পীর সাহেব চরমোনাই বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেন, “যেসব অপরাধী আপনাদের রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে চাঁদাবাজি করে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আপনারা যদি জনতার কাছ থেকে মার্জিত ক্ষোভ আশা করেন, তবে আগে দলের অপরাধীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। বিএনপিরই কিছু নেতার বহিষ্কার প্রমাণ করে যে এই অপরাধীরা দলীয় ছত্রছায়ায় ছিল।”
তিনি দাবি করেন, “১৪ জুলাই ছিল দেশের রাজনীতির জন্য ‘সবচেয়ে কলঙ্কময় দিন’। তার ভাষায়, আমাদের সিনিয়র নায়েবে আমির একটি সতর্কতামূলক বক্তব্য দিয়েছেন। সেটিকে খণ্ডিতভাবে প্রচার করে আধ্যাত্মিক ধারার অনুসারীদের বিরুদ্ধে রাজপথে নোংরা স্লোগান দেওয়া হয়েছে।বিএনপির মঞ্চ থেকে চরমোনাইকে টার্গেট করে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। রাজনীতিতে এই বিদ্বেষ ও প্রতিহিংসা বিএনপির মতো দলের জন্য শোভন নয়।”
চরমোনাই পীর বলেন, “গত ১০ মাসে আইনশৃঙ্খলার চিত্র ভয়াবহ। জনজীবন অনিরাপদ। সরকার ব্যর্থ হচ্ছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। অথচ সেনাবাহিনী ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ারসহ মোতায়েন থাকার পরও এই নৈরাজ্য কেন? সে প্রশ্ন উঠছে। যদি কোনো অদৃশ্য শক্তি এসব ঘটনার পেছনে থাকে, তবে তা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।”