মঙ্গলবার, ০১ মার্চ, ২০১৬, ০৮:৪২:০২

গুলির নির্দেশ চায় ওয়ার্কার্স পার্টি

গুলির নির্দেশ চায় ওয়ার্কার্স পার্টি

নিউজ ডেস্ক : বিভিন্ন এলাকায় সরকারি দলের লোকেরা বিরোধী পক্ষের লোকদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা সৃষ্টি করছেন এমন অভিযোগ উঠায় একাধিক জায়গায় মনোনয়নপত্র জমা দেযার বিকল্প সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।  এদিকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র দখল করে লুটপাট হলে গুলির নির্দেশের দাবি জানিয়েছে ওয়ার্কার্স পার্টি।

এমনকি বিএনপির প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা না নেয়ার জন্য বাধ্য করতে অনেক এলাকায় সরকারী দলের সমর্থকরা রিটার্নিং অফিসারদের লাঞ্ছিত করায় অনেকটা দিশেহারা ইসি।  এ নির্বাচনে সরকারি দলের ভোটকেন্দ্র দখলসহ অনিয়ম বন্ধে পুলিশকে গুলি চালাবার নির্দেশ দাবি করে সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেছে ওয়ার্কার্স পার্টি।

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়পত্র জমা দেয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির ক্রমাগত অভিযোগ ছিল শুরুর দিন থেকেই।  বিভিন্ন জায়গাতে রিটার্নিং অফিসারদের জোর করে অফিস ঘেরাও করে অন্য কোন দলের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা না নেয়ার ঘটনা ঘটেছে বেশ কিছু জায়গায়।

ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার চেয়ারম্যানসহ বেশ কিছু জায়গায় সরকারি দলের প্রার্থীসহ প্রভাবশালীরা এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছেন বলেও সত্যতা পেয়েছে ইসি।  বাধাদানকারী প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়াও শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন।

তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যে কোন ধরনের অরাজকতা নিয়ন্ত্রণ করতে এখন থেকে প্রার্থীরা নিজ নিজ উপজেলার বাইরেও নিজ জেলার সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন।

দুপুরে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৬৪ জেলায় ৬৪ টি জন সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ দিয়েছে ইসি।  নির্বাচন কমিশন আশা করছে আইন অনুযায়ী সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে এই বিকল্প ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

পৌরসভা নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় ইউপি নির্বাচন নিয়ে বিএনপির পাশাপাশি নির্বাচনের সুষ্ঠুতা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ওয়ার্কার্স পার্টি। তাদের আশংকার কথা জানাতে বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখাও করেছেন দলটির প্রতিনিধিরা।


মঙ্গলবার বিকেল সোয়া তিনটা থেকে পৌনে চারটা পর্যন্ত আধা ঘণ্টার বৈঠকে সিইসি প্রতিনিধি দলটির বক্তব্য শোনেন।
 
বৈঠক থেকে বের হয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা সাংবাদিকদের বলেন, গত পৌরসভা নির্বাচনে অনিয়ম হয়েছে।  সে বিষয়টির পুনরাবৃত্তি যেন আসন্ন ইউপি নির্বাচনে না হয়, সেজন্য সতর্ক করতেই সিইসির সঙ্গে দেখা করেছি।  নির্বাচন কমিশনের অনেক ক্ষমতা আছে। কিন্তু তারা সে ক্ষমতা প্রয়োগ করে না। ইউপি নির্বাচনে যেন তাদের ক্ষমতাটা প্রয়োগ সে বিষয়ে আহ্বান জানিয়েছি।
 
তিনি বলেন, যার ভোট তিনি দেবেন।  সবার ভোট যেন একজনে না দেন, সে বিষয়েও লক্ষ্য রাখতে হবে।  দেশে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা যেন গড়ে ওঠে সে দাবি নিয়েই আমরা এসেছি।  জাতীয় সংসদে আমাদের মাত্র সাতজন সদস্য।  তাই স্থানীয় পর্যায়ে কতোটুকু অংশগ্রহণ করবে এ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হতে পারে।  কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচন হলে একটা পরিবর্তন আসতে পারে।  

তিনি বলেন, সব জায়গায় গুলি চালানো হয়, সব জায়গায় পুলিশ লাঠিপেটা করতে পারে।  ভোটকেন্দ্র দখল করে ভোট লুটপাট করা হলে সেক্ষেত্রে কেন এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না- এ প্রশ্ন তোলেন ফজলে হোসেন বাদশা।
১ মার্চ,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে