এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : কড়াইল বস্তিতে লাগা ভয়াবহ আগুনে সব হারানো হাজারো মানুষের জীবনে এখন শুধুই হাহাকার। আগুনের লেলিহান শিখা বস্তির শত শত ঘর পুড়িয়ে ছাই করে দিয়েছে। রেখে গেছে কেবল চরম দুর্ভোগ। পুড়ে যাওয়া ঘরের কাছে দাঁড়িয়ে হাজারো নিঃস্ব মানুষের মুখে একটাই কথা, ‘গায়ের কাপড় ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নাই, সবকিছু পুড়ে ছাই’।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বস্তির বৌবাজার ক ব্লকের বাসিন্দা আব্দুল মান্নান বলেন, আমার গায়ের কাপড় ছাড়া আর কিছুই নাই, সব পুড়ছে ছাই হয়ে গেছে। ছোট্ট দোকান চালিয়ে যা উপার্জন করতাম তা দিয়েই চলত সংসার। সেই সামান্য ঘরের ভেতরেই ছিল আমার সারা জীবনের সঞ্চয়। ছেলেমেয়েদের সার্টিফিকেট, ফ্রিজ-টিভি। সবকিছু শেষ। কিছুই বাকি নাই।
সরেজমিনে দেখা যায়, আব্দুল মান্নানের মতো হাজারো মানুষ এখন খোলা আকাশের নিচে।
রহিমা বেগম নামের এক বৃদ্ধা বলেন, ছেলেটার চিকিৎসার জন্য কিছু টাকা জমিয়েছিলাম, একটা টিনের কৌটায় রাখা ছিল। আজ ছাই ঘেঁটে সেটাও মেলেনি। এখনো না খেয়ে আছি। আমরা সরকারের কাছে সহযোগিতা চাই।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে বস্তির বৌবাজারের একটি ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় এবং শুকনো মৌসুমের কারণে আগুন দ্রুত শতাধিক ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের মোট ১৯টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও সরু পথ ও পানির অভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে মারাত্মক বেগ পেতে হয়। এলাকার লেক থেকে পাইপ টেনে এনে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা চেষ্টার পর রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।