স্পোর্টস ডেস্ক: ৬৮ বলে ৭৮ রান। পাঁচটা চার। চারটা ছয়। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের প্রথম দিনে খেলাঘরের হয়ে এই ইনিংস খেলেছেন নাফিস ইকবাল। যাকে এখন ‘তামিম ইকবালের ভাই’ বলে পরিচয় করিয়ে দেয়ার দরকার পড়ে!
১৬-১৭ বছর বয়সী অনেক ছেলেপেলে নাফিস ইকবালকে চেনে না। তিনি কী করতে পারতেন, তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেটের কতো বড় আফসোসের নাম, সেটাও জানে না। কিন্তু আজকের এই ইনিংসটা দেখলে হয়তো তারা আন্দাজ করতে পারতো, ভাবতে পারতো, জাতীয় দলের হয়ে মাতিয়ে চলা তামিম ইকবালের ভাই আরো কতো বড় ব্যাটসম্যান হতে পারতেন।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) খুলনা টাইটান্সের হয়ে ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করায়, অনেকেই মনে করেছেন নাফিস ইকবালের খেলোয়াড়ি জীবন শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শুরুর দিনে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে চট্টগ্রামের ইকবাল পরিবারের দ্বিতী টেস্ট ক্রিকেটার জানান দিলেন তিনি এখনও ফুড়িয়ে যাননি। ক্রিকেটেই আছেন, ক্রিকেটই তাঁর পরিচয়।
বুধবার ফতুল্লাহ খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে আবাহনী লিমটেডের বিপক্ষে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামে নাফিস ইকবালের খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দলিয় অধিনায়ক নাফিস ইকবাল এবং ওপেনার রবিউল ইসলামের জোড়া ফিফটিতে ভর করে ৬ উইকেটে ২৯৩ রান সংগ্রহ করে খেলাঘর।
দলের হয়ে ৬৮ বলে পাঁচটি চার ও চারটি ছক্কার সাহায্যে ৭৮ রান করেন নাফিস। ৭৪ রান করেন রবিউল ইসলাম। ৪১ রান আসে অমিত মজুমদারের ব্যাট থেকে। আবাহনীর হয়ে একাই তিন উইকেট নেন শ্রীলঙ্কা সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজে জাতীয় দলে অভিষেক হওয়া সাইফউদ্দিন। এছাড়া কাজী অনিক নেন দুই উইকেট।
যদিও, ম্যাচটায় শেষ অবধি জিতে গেছে আবাহনীই। তিন ওভার তিন বল বাকি থাকতে পাঁচ উইকেটে পেয়েছে শক্তিশালী দলটি। তাতে বড় অবদান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের। দুই ছক্কা আর ১২ টি চারে সৌজন্যে ১১০ রান করেন তিনি।দুই ছক্বা আর তিনটি চারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ করেন ৫৯ রান।
১২ এপ্রিল ২০১৭/এমটি নিউজ২৪ডটকম/এপি/ডিপি