স্পোর্টস ডেস্ক : ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানোর পর টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন রোহিত শর্মা। এখন দলে তার পরিবর্তে ওপেনার হিসেবে জায়গা পাওয়ার দৌড়ে আছেন বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। তবে স্যামসন যে লড়াইয়ে এগিয়ে আছেন তারই প্রমাণ গত দুই সিরিজে দিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেছিলেন স্যামসন, ৪৭ বলে ৮ ছক্কা ও ১১ চারে ১১১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি, এরপর প্রোটিয়াদের বিপক্ষে চলমান সিরিজের প্রথম ম্যাচেও তিনি করেছেন সেঞ্চুরি, এবার শতক হাঁকিয়েছেন ৪৭ বলে। টি-টোয়েন্টিতে পরপর দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করা কেবল চতুর্থ এবং প্রথম ভারতীয় ব্যাটার হওয়ার রেকর্ড গড়েছেন তিনি।
শুধু তাই নয়, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডও গড়েছেন স্যামসন। তবে এই স্যামসনই লম্বা সময় ভারতের জাতীয় দলে উপেক্ষিত ছিলেন। তিনি ২০১১ সাল থেকে পেশাদার ক্রিকেট খেললেও এখনো তার টেস্ট অভিষেক হয়নি। এমনকি ২০১৫ সালে জাতীয় দলে অভিষেক হওয়ার পর থেকে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৫ বছর। ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি মিলে খেলেছেন কেবল ৫১ ম্যাচ।
চলতি বছর ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াডেও ছিলেন স্যামসন। তবে খেলার সুযোগ মিলেনি এই উইকেটকিপার ব্যাটারের। স্যামসন বেশিরভাগ সময় তখনই দলে ডাক পেতেন যখন কোনো সিরিজের জন্য দ্বিতীয় সারির দল ঘোষণা করা হট এবং প্রথম শ্রেণীর তারকা ক্রিকেটারদের বিশ্রামে রাখা হতো।
ভারতের জাতীয় দলে স্যামসন নিয়মিত না হওয়ার পেছনে সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি, বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা ও প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড়কে দায়ী করেছেন স্যামসনের বাবা বিশ্বনাথ। তিনি মিডিয়া ওয়ান টিভি দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘তিন-চার জন মানুষ আছে, যারা আমার ছেলের ক্যারিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ ১০ বছর নষ্ট করেছে। ধোনি, বিরাট (কোহলি) ও রোহিতের মতো অধিনায়ক এবং কোচ (রাহুল) দ্রাবিড়—এই চারজন আমার ছেলের জীবন ধ্বংস করেছে। কিন্তু তারা সঞ্জুর (স্যামসন) যত বেশি ক্ষতি করেছে, সে আরও শক্তিশালী হয়ে সংকট থেকে বেরিয়ে এসেছে।’
ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানোর পর টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন রোহিত-কোহলি। প্রধান কোচের পদ ছেড়েছেন রাহুল দ্রাবিড়। ভারতের টি-টোয়েন্টি দলের নতুন অধিনায়ক এখন সূর্যকুমার যাদব, আর প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর, এ দুজনের অধীনে টি-টোয়েন্টিতে নিয়মিত ডাক পাচ্ছেন স্যামসন।