স্পোর্টস ডেস্ক : দীর্ঘ ২২ বছর পর অস্ট্রেলিয়ায় ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে পাকিস্তান। শাহিন আফ্রিদি-হারিস রউফদের গতি ও বাউন্সারে ঘরের মাঠে নকআউট হয়েছে স্বাগতিক অজিরা। অধিনায়ক হিসেবে মোহাম্মদ রিজওয়ানের অভিষেকটাও হয়েছে দারুণ।
পেসারদের এই পারফরম্যান্সের ছাপ পড়েছে সদ্য প্রকাশিত আইসিসির হালনাগাদকৃত র্যাঙ্কিংয়ে। ওয়ানডে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছেন শাহিন আফ্রিদি। আর আগে থেকেই ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা বাবর আজম জায়গা ধরে রেখেছেন। ফলে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের ব্যাটার-বোলার দুই বিভাগের নম্বর ওয়ান এখন পাকিস্তানি।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) প্রকাশিত হালনাগাদকৃত র্যাঙ্কিংয়ে ওয়ানডে বোলাদের নম্বর ওয়ান হয়েছেন শাহিন আফ্রিদি। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে পুরনো ছন্দের শাহিনকে দেখা গিয়েছিল। মাত্র ১২.৬২ গড়ে ৩ ম্যাচে শিকার করেছিলেন ৮ উইকেট। তাতে ৩ ধাপ এগিয়েছেন এই বাঁহাতি। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ চলাকালীন শেষবার ওয়ানডে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ছিলেন শাহিন।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ সেরার পুরস্কার উঠেছে হারিস রউফের হাতে। মাত্র ৩ ম্যাচে ১০ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। র্যাঙ্কিংয়েও বড় লাফ দিয়েছেন এই পেসার। ১৪ ধাপ এগিয়ে ১৩ নম্বরে উঠেছেন হারিস। হারিসের রেটিং পয়েন্ট ৬১৮, যা তার ক্যারিয়ারসেরা।
১৪ ধাপ এগিয়েছেন নাসিম শাহও। এই পেসার যৌথভাবে ৫৫ নম্বরে আছেন। একই সময়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারলেও বেশিরভাগ বাংলাদেশি বোলার উন্নতি করেছেন। তবে সবচেয়ে বেশি উন্নতি করেছেন বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। ৪৯ ধাপ এগিয়ে ৭২ নম্বরে উঠেছেন তিনি।
৯ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশিদের মধ্যে সেরা অবস্থানে আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ২৩ নম্বরে আছেন তিনি। মুস্তাফিজুর রহমান ৬ ধাপ এগিয়ে ৩৬ নম্বরে আর তাসকিন ১ ধাপ এগিয়ে ৩৯ নম্বরে উঠেছেন। তবে ১০ ধাপ পিছিয়েছেন শরিফুল ইসলাম। তিনি আছেন ৩৪ নম্বরে।
ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের দ্বিতীয় স্থান ধরে রেখেছেন আফগান স্পিনার রশিদ খান। ১১ নম্বরে আছেন মোহাম্মদ নবি। এদিকে ১১ ধাপ এগিয়ে ৯৮ নম্বরে উঠেছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই।
ওয়ানডে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ের সেরা ১০-এ কোনো পরিবর্তন নেই। বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে সেরা অবস্থানে আছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ১১ ধাপ এগিয়ে ২৩ নম্বরে আছেন শান্ত। শেষ ওয়ানডেতে ৯৮ রানের ইনিংস খেলা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১০ ধাপ এগিয়ে ৪৪ নম্বরে উঠেছেন। উন্নতি হয়েছে সৌম্য সরকার ও মিরাজেরও। দুজনই ৮ ধাপ করে এগিয়েছেন। তারা যথাক্রমে ৮৫ ও ৮৮ নম্বরে আছেন।
তবে অবনতি হয়েছে আফগান সিরিজে দলে না থাকা লিটন দাসের। অবনতি হয়েছে রাঙ্খরায় থাকা তাওহীদ হৃদয়েরও। ৮ ধাপ পিছিয়ে লিটন ৬৪ ও ৬ ধাপ পিছিয়ে ৭৬ নম্বরে নেমে গেছেন হৃদয়।