সোমবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১৬, ০১:৫২:৪১

তখন গর্বে বুকটা ফুলে ওঠে: শচীন

তখন গর্বে বুকটা ফুলে ওঠে: শচীন

স্পোর্টস ডেস্ক : শচীন টেন্ডুলকারের জীবনের সেরা অনুভূতি কী? এ কথা জিজ্ঞাসা করলে অনেক মানুষই হয়ত ধাঁধায় পড়বেন। ২৪ বছরের কেরিয়ারে মুম্বাইয়ের সন্তান অনেক ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন। বিভিন্ন বিষয়ে তার অভিজ্ঞতার ভাঁড়ারও পূর্ণ। সেখানে সেরা বেছে নেওয়াটা কঠিন বইকি!

কিন্তু মাস্টার ব্লাস্টার নিজে জানালেন, ২০০৩–এ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এবং ২০১১–তে ওয়াংখেড়েতে বিশ্বকাপ ফাইনালে গোটা স্টেডিয়ামের সঙ্গে গলা মিলিয়ে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া তার জীবনের অন্যতম সেরা অভিজ্ঞতা। বলেছেন, ‘জাতীয় সঙ্গীত প্রচুর গেয়েছি। কিন্তু পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরিয়নে এবং বিশ্বকাপের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটাই সব থেকে ভাল।’

দুটোর মধ্যে কোনটাকে আগে রাখবেন? শচীন জানিয়েছেন, পাকিস্তানেরটাই। ‘ওটা একটা অন্য মাত্রার অভিজ্ঞতা ছিল। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের মঞ্চে সতীর্থদের পাশে দাঁড়িয়ে স্টেডিয়ামের ৬০,০০০ লোকের সঙ্গে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া, এ এক অনন্য অভিজ্ঞতা।’

এদিন মুম্বাইয়ে ‘দ্য স্পোর্টস হিরোজ’ নামে একটি ভিডিওর উদ্বোধনে শচীন ছাড়াও হাজির ছিলেন সুশীল কুমার, ধনরাজ পিল্লাই, গগন নারাং প্রমুখ ক্রীড়াবিদ। অনুষ্ঠানের প্রসঙ্গেই উঠে আসে জাতীয় সঙ্গীতের প্রসঙ্গ।

জাতীয় প্রসঙ্গের তাৎপর্য প্রসঙ্গে শচীন আরও বলেন, ‘যখন মাঠের মাঝখানে মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে আপনি জাতীয় সঙ্গীত গান, তখন গর্বে আপনার বুক বুকটা ফুলে ওঠবে।’ জাতীয় সঙ্গীতের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্যও আহ্বান জানিয়েছেন দেশের প্রতিটি নাগরিককে। ‘আমরা অনেক লক্ষ্য অতিক্রম করি, জীবনে অনেক মাইলফলক পার করি। কিন্তু জাতীয় সঙ্গীতের কথা বললেই, সবাই পিছিয়ে যায়। এটা পরিবর্তন হওয়া দরকার।’
২৫ জানুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ/এসএস/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে