আল-আমিন শিবলী: বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের মতো অনূধ্ব-১৯ দলেও অল রাউন্ডার মাশরাফি আছে। ক্রিকেট খেলা তার কীর্তি কর্মের দেখে অনেকে তাঁকে মেহেদি হাসান মিরাজ না বলে আগামী দিনের মাশরাফি বলে থাকেন। মাশরাফি বিন মুর্জতা যেমন ক্রিকেটবিশ্বে বড় বড় পরাশক্তি দলগুলোকে কাবু করে ছেড়ে দিয়েছে তেমনি অনূধ্ব-১৯ দল অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ দেশে ও দেশের বাইরে একাধিক সিরিজ জিতেছেন।
২৭ জাুনয়ারি থেকে বাংলাদেশের পর্দা উঠঠে অনূধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের। এর আগেই ভাল অবস্থানে রয়েছে মেহেদি হাসান মিরাজ দল। স্বাগতিক দল হিসেবে বাংলাদেশের শিরোপা জয়টা সবাই প্রত্যাশা করছে। ১৬ কোটি মানুষের প্রাণের দাবি শিরোপা। সেই স্বপ্ন এগিয়ে রেখেই বিশ্বকাপের আগে ওয়েস্ট উন্ডিজ যুব ক্রিকেট দলকে বাংলাওয়াশা এবং জিম্বাবুয়ে ও ইল্যান্ডের বিপক্ষে যেভারে দুদান্ত জয় ছিনিয়ে এনেছে তাতে নিশ্চিতে বলা যায় যে,অল রাউন্ডার মিরাজের নেতৃত্বে সম্ভব অনূধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের শিরোপা জেতা।
সোমবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের যুব ক্রিকেটারদের ৯৭ রানে হারিয়েই বিশ্বকাপের মূল আসরে শিরোপার মিশনে নামছে মিরাজ।
বাংলাদেশের ২৪৬ রানের জবাব দিতে নেমে নিজেদের ইনিংসের শুরুতেই শূন্য রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসেছিল ইংলিশ যুবারা। বাংলাদেশ যুব দলের বোলারদের খেলতেই পারেনি ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা। ১৫ রানে চতুর্থ উইকেটটিও হারিয়ে ফেলার পর বাংলাদেশের জয় এক রকম নিশ্চিত হয়ে যায়। পঞ্চম ও অষ্টম উইকেটে দুটি পঞ্চাশোর্ধ্ব জুটিতে ইংল্যান্ড কেবল লজ্জাটাই এড়ানোর চেষ্টা করেছে। দলীয় সর্বোচ্চ ৪১ করেছেন আটে ব্যাট করা ব্র্যাড টেলর। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৬ করেছেন ক্যালাম টেলর। জেয়ার্ড ওয়ার্নার অলআউটের হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা চালিয়ে গেছেন ৭১ বলে ১৬ রানের টেস্ট ক্রিকেটেও অচল ইনিংস খেলে। কিন্তু তাঁর এই চেষ্টা সফল হয়নি। ১.৫ ওভার হাতে রেখে ১৪৯ রানে অলআউট হয়েছে ইংল্যান্ড। বাংলাদেশ দলের হয়ে ৩টি করে উইকেট পেয়েছেন দুই মেহেদী হাসান—মিরাজ ও রানা। ২ উইকেট মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের।
এর আগে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং নেয় বাংলাদেশ। তবে ৯১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে একপর্যায়ে বেশ বিপর্যস্ত ছিল মিরাজের দল। সাইফ হাসান, পিনাক ঘোষ, জয়রাজ শেখ, জাকির হোসেনরা ফিরে যাওয়ায় বড় সংগ্রহের স্বপ্নটা বেশ ফিকেই হয়ে আসছিল বাংলাদেশের।
এমন একটা পরিস্থিতিতে শফিউল হায়াতের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। ৬৪ রানের এক ইনিংস খেলে পরিস্থিতি সামাল দেন দৃঢ়তার সঙ্গেই। তাঁর যোগ্য সঙ্গী হয়ে ছিলেন সাইফুদ্দিন আর জাকের আলী। এঁরা দুজন করেন যথাক্রমে ৪৬ ও ৩৬। শেষের দিকে সাঈদ সরকারের ১৩ রানের ইনিংসটিও অবদান রেখেছে। ৫০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ২৪৬।
জবাব দিতে নেমে দুই ওভারেই ইংল্যান্ড রীতিমতো বিধ্বস্ত। প্রথম ওভারে সাইফুদ্দিন প্রথম উইকেট ফেলে দেওয়ার পর অধিনায়ক মিরাজ দ্বিতীয় ওভারে হানেন জোড়া আঘাত। স্কোরবোর্ডে একটি রান জমা হওয়ার আগেই জমা পড়ল তিনটি উইকেট! আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ইংল্যান্ড।
২৫ জানুয়ারি,২০১৫/এমটি নিউজ২৪/আল-আমিন/এএস