স্পোর্টস ডেস্ক : অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ওপেনার কেইথ স্টাকপোল মারা গেছেন। অজিদের হয়ে ৪৩ টেস্ট খেলা এই ক্রিকেটারের বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মিডল অর্ডার ব্যাটার হিসেবে অভিষেক হয় স্টাকপোলের। লেগ স্পিনটাও মন্দ করতেন না। কিন্তু ১৯৬৯ এর শুরুর দিকে ওপেনার হিসেবে বিল লরির পার্টনার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কেপটাউন টেস্টে ক্যারিয়ারের অভিষেক সেঞ্চুরির দেখা পান স্টাকপোল.১৯৭০ সালে গ্যাবায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেন ক্যারিয়ারসেরা ২০৭ রানের ইনিংসটি।
স্টাকপোল বিশেষভাবে স্মরণীয় তার অ্যাশেজের পারফরম্যান্সের জন্য। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৫.২১ গড়ে রান করেছেন তিনি, যেখানে আছে ৩টি সেঞ্চুরিও। ১৯৭২ এর অ্যাশেজে অজি অধিনায়ক ইয়ান চ্যাপেলের সহকারী হিসেবে ৫৩.৮৮ গড়ে ৪৮৫ রান করেন তিনি। যা তাকে ১৯৭৩ সালে উইজডেনের ক্রিকেটার অব দ্য ইয়ারের খেতাব এনে দিয়েছিল।
সাবেক এই টেস্ট ক্রিকেটারের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চেয়ারম্যান মাইক বার্ড বলেন, 'কেইথ ক্রিকেট খেলাটার অন্যতম অংশীদার এবং তার উত্তরাধিকার ভবিষ্যতেও বাঁচিয়ে রাখবে তাকে। তিনি শুধু অস্ট্রেলিয়া ও ভিক্টোরিয়ার দুর্দান্ত একজন ক্রিকেটারই ছিলেন না, মিডিয়া, রেডিও এবং টিভিতে ধারাভাষ্যকার হিসেবে এবং অনেক খেলোয়াড়ের উৎসাহদাতা, যারা তার পদাঙ্ক অনুসরণ করেছে, খেলাটার প্রতি তার নিবেদন এবং প্রভাবের স্বীকৃতি দেয়।'
ক্রিকেট ভিক্টোরিয়ার ভাইস চেয়ার রস হেপবার্ন বলেন, 'কেইথ খেলাটার মহীরূহ–একজন দুর্দান্ত ক্রিকেটার, অনুভূতিশীল ভিক্টোরিয়ান এবং গর্বিত অস্ট্রেলিয়ান। ক্রিজে তার সাহস এবং খেলাটার বিষয়ে গভীর বোঝাপড়া আকে তার সময়ের অন্যতম সম্মানিত ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছিল।'
১৯৭৪ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টের দুই ইনিংসে শূন্য রানে আউট হলে তার টেস্ট ক্যারিয়ারের ইতি ঘটে। এই টেস্টের এক ইনিংসে প্রথম বলেই ফুলটসে বোল্ড হয়েছিলেন তিনি।
১৯৭১ সালে ইতিহাসের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে যারা খেলছিলেন, তাদের অন্যতম স্টাকপোল। এমসিজিতে তিনি এই ম্যাচে ৪০ রানে ৩ উইকেট শিকার করেছিলেন।
১৯৭৪ সালে তিনি ক্রিকেটের প্রতি নিবেদনের জন্য ব্রিটেনের রাজপরিবারের থেকে মর্যাদাপূর্ণ 'দ্য মোস্ট এক্সিলেন্ট অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার' (এমবিই) খেতাব পান।
৪৩ টেস্টের ক্যারিয়ারে ৩৭.৪২ গড়ে ২৮০৭ রান করেছেন স্টাকপোল। ৭টি শতকের পাশাপাশি হাঁকিয়েছেন ১৪টি অর্ধশতকও। ৬ ওয়ানডেতে ৩ অর্ধশতকে করেছেন ২২৪ রান। এছাড়া প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে ১৬৭ ম্যাচে ১০,১০০ রান করেছেন। নামের পাশে আছে ২২টি শতক ও ৫০টি অর্ধশতক। খেলোয়াড়ি জীবনের শেষে ধারাভাষ্যকার হিসেবেও পেয়েছেন সাফল্য।