স্পোর্টস ডেস্ক : সারাদিনই গুঞ্জন বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছিল, যেকোনো সময় পদত্যাগ করতে পারেন কিংবা সরিয়ে দেওয়া হতে পারে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদকে। যদিও যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার স্পষ্ট বার্তা সত্ত্বেও ফারুক আহমেদ বিকেল নাগাদ বলেছিলেন, তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করবেন না।
কিন্তু পরিস্থিতির নাটকীয় মোড় নেয়, সন্ধ্যা নাগাদ বিসিবির আটজন পরিচালক ফারুক আহমেদের নামে অনাস্থা প্রস্তাব করায়। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বরাবর লেখা এক চিঠিতে ১০ পরিচালকের আটজনই স্বাক্ষর করেন।
এরপরই অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায়, ফারুক আহমেদ আর স্বপদে বহাল থাকতে পারছেন না। অবশেষে আজ রাতেই সরকারের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) কোটায় পরিচালক থেকে মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে ফারুক আহমেদের। এনএসসি কোটায় পরিচালক না থাকলে অটোমেটিক বিসিবি সভাপতি পদেও তার থাকতে পারার কথা নয়।
বিসিবি গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, পরিচালকদের মধ্য থেকে একজনকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। গত বছর ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সরকার পরিবর্তনের পর বিসিবিতেও পরিবর্তন আনা হয়। সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন পদত্যাগ করেন।
অন্যদিকে, এনএসসি কোটায় বিসিবির দুই পরিচালক জালাল ইউনুস ও আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববিকে পদত্যাগ করানো হয়। এ দুইজনের পরিবর্তে ফারুক আহমেদ ও নাজমুল আবেদিন ফাহিমকে পরিচালক হিসেবে মনোনয়ন দেয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বা এনসসি। ১৯ আগস্ট এই দু’জনকে মনোনয়ন দেয়ার পর পরিচালকদের ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হন ফারুক আহমেদ।
আজ রাত ১১টায় এনএসসি থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে ফারুক আহমেদের মনোনয়ন বাতিলের বিষয়ে লেখা হয়, আট পরিচালকের (বর্তমানে সংখ্যাগরিষ্ঠ) তার প্রতি অনাস্থা ও বিপিএল নিয়ে সত্যানুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদন পর্যালোচনা বিসিবির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করেছে এনএসসি।
এনএসসির বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে ফারুক আহমেদ মিডিয়াকে বলেন, ‘চিঠিটি আমি দেখেছি। এ ব্যাপারে আমি এখন কোনো মন্তব্য করবো না। আগামীকাল আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবো।’ এখনো সভাপতি আছেন কি না, এ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সবকিছু তো আসলে নিয়ম অনুযায়ী হতে হবে। তবে আমি এখনো পদত্যাগ করিনি।’