স্পোর্টস ডেস্ক : ব্যাটিংয়ে বিপর্যয়ের ঘটনা ক্রিকেট ম্যাচে খুবই সাধারণ ঘটনা। তবে অবিশ্বাস্য এক ব্যাটিং ধস দেখা গেছে ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় ঘরোয়া প্রতিযোগিতা রঞ্জি ট্রফিতে। ২০২৫-২৫ মৌসুমের একটি প্লেট গ্রুপ ম্যাচে মিজোরাম মাত্র ১২ রানের লক্ষ্য দেয়। যা তাড়া করতে নেমে মণিপুরও বিপর্যয়ে পড়ে মাত্র ৮ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে। যদিও পরে আর উইকেট না হারিয়েই শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি জিতেছে তারা।
মণিপুরের লাল বাহাদুর শাস্ত্রী স্টেডিয়ামে লাল বলের ম্যাচটিতে আগে ব্যাট করা মিজোরাম প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় মাত্র ১৪৩ রানে। পরে মণিপুর অলআউট হওয়ার আগে প্রথম ইনিংসে ৪০০ রান তোলে। মিজোরামের রান পেরিয়ে তাদের লিড দাঁড়ায় ২৫৭ রানের। দ্বিতীয় ইনিংসে মিজোরামের ব্যাটিংয়ে কিছুটা উন্নতি হলেও তা চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না। দ্বিতীয় ইনিংসে তারা স্কোরবোর্ডে তোলে ২৬৮ রান।
মণিপুরের কাজটা প্রথম ইনিংসেই মোটামুটি সহজ হয়ে যায়। ফলে তারা চতুর্থ ইনিংসে খেলতে নামে মাত্র ১২ রানের লক্ষ্যে। ছোট এই পুঁজির সামনেও যে টপ ও মিডল অর্ডার ব্যাটারদের বড় পরীক্ষা দিতে হবে তা কে জানত! ডাক নিয়ে আউট হন মণিপুরের ওপেনার উলেনিয়াই খোয়েরাকপাম। আরেক ওপেনার কারনাজিত ইয়ামনাম আউট হন ৬ রান করে। আরও দুই রান দলীয় খাতায় যোগ করতেই মণিপুর হারায় আরও তিন ব্যাটারকে। ফলে ৮ রানেই তাদের ৫ উইকেটের পতন ঘটে। এত ছোট লক্ষ্য তাড়ায়ও হারার শঙ্কায় পড়েছিল দলটি।
তবে পরবর্তীতে মণিপুরকে আর দুর্ভাবনায় পড়তে হয়নি। তারা মিজোরামকে হারিয়েছে ৫ উইকেটে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অবশ্য এত ছোট লক্ষ্য দিয়েও জেতার ইতিহাস নেই। সর্বনিম্ন ৪১ রানের লক্ষ্য দিয়ে জয়ের ঘটনা ঘটেছিল ১৭৯৪ সালে, ওল্ডফিল্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৩৪ রানে অলআউট হয়েছিল মেরিলবোন ক্রিকেট ক্লাব। ফলে ৪১ রানের ছোট পুঁজিও ডিফেন্ড করে জিতেছে ওল্ডফিল্ড।
শীর্ষ বিশের মধ্যে থাকা ছোট পুঁজি ডিফেন্ড করার ঘটনা ঘটেছিল ২০১২-১৩ সালে। জিম্বাবুয়ের লোগান কাপে সাউদার্ন রকের দেওয়া ৬৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় মাত্র ২৬ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল মাউন্টেইনিয়ারস। প্রথম শ্রেণিতে সর্বনিম্ন ৬ রানে অলআউট হওয়ারও রেকর্ড রয়েছে। ১৮১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই লজ্জার কীর্তি গড়ে ‘দ্য বিএস’ নামে একটি দল। মণিপুর অল্পের জন্য সেই লজ্জা থেকে মুক্তি পেয়েছে।