স্পোর্টস ডেস্ক : শ্রীলঙ্কা থেকে টেস্ট সিরিজ জিতে ফিরলেও ভারতীয় দলের অতি-আগ্রাসী আচরণ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ক্রিকেট মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে, ভারতীয় দলের কয়েকজন ক্রিকেটারের আগ্রাসন মাঝে মাঝে মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে কিনা। এবং এ জন্য কেউ কেউ দায়ী করছেন বিরাট কোহলি ও রবি শাস্ত্রীর দলে আগ্রাসী মনোভাব আমদানির নীতিকে।
সাবেক টেস্ট ক্রিকেটার সঞ্জয় মঞ্জরেকর যেমন তার কলামে লিখেছেন, ‘‘রবি শাস্ত্রী ও বিরাট কোহলির এই জুটিটা বেশ দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে।’’ ইশান্ত শর্মার দুর্ব্যবহারই যে এই সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে, তা বোঝা কঠিন নয়। শ্রীলঙ্কায় শেষ টেস্টে দীনেশ চন্ডিমলের সঙ্গে যে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন ইশান্ত, তাতে তাকে এক ম্যাচের জন্য ব্যান করেছে আইসিসি। মাঠে ইশান্তের আচরণ ও বিপক্ষের ক্রিকেটারদের উদ্দেশ্যে তার বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গিই এই শাস্তির কারণ। এর পিছনে কোহলি ও শাস্ত্রীর প্রশ্রয়ই দেখছেন মঞ্জরেকর।
এক ক্রিকেট ওয়েবসাইটে তিনি লিখেছেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়া সফরের পর থেকে ভারতীয়দের মধ্যে এই ধরনের আগ্রাসন কমার কোনও লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। বরং শ্রীলঙ্কার মতো একটা দলের সঙ্গে এমন ব্যবহার বুঝিয়ে দিচ্ছে, ওরা এই ঘটনাগুলোকে মোটেই খারাপ আচরণ বলে মনে করছে না। এই কারণে একটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে একজন ফর্মে থাকা বোলারকে হারানোর কোনও মানে হয় না।’’
সুনীল গাওস্করকেও ইশান্তের অঙ্গভঙ্গির সমালোচনা করতে শোনা গিয়েছে। মঞ্জরেকরের বক্তব্য, ‘‘এ ক্ষেত্রে এ সব রগচটা কমবয়সি ছেলেদের সামলানোর জন্য দলে একজন অভিজ্ঞ অভিভাবকের প্রয়োজন, যিনি তাদের বুঝিয়ে সুঝিয়ে সঠিক পথে আনতে পারেন।’’ রবি শাস্ত্রীকে উদ্দেশ্য করেই যে এই খোঁচাটা মেরেছেন তিনি, তা বুঝতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
এ দিকে, শোনা যাচ্ছে অক্টোবরে আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ঘরোয়া সিরিজের প্রস্তুতি নিতে ভারত ‘এ’-র হয়ে মাঠে নেমে পড়তে পারেন সিনিয়র দলের দুই ক্যাপ্টেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ও বিরাট কোহলি। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি এই সিরিজে বাংলাদেশ ‘এ’ দল আসছে তিনটি ওয়ান ডে ও দু’টি তিন দিনের ম্যাচ খেলার জন্য। সবক’টি ওয়ান ডে ম্যাচই বেঙ্গালুরুতে। ওই সময় ভারতীয় দলের প্রস্তুতি শিবিরও চলবে সেখানে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজ শুরুর ঠিক আগে এই ‘এ’ সিরিজকে তাই সিনিয়র দলের কয়েকজন ক্রিকেটার প্রস্তুতি সিরিজ হিসেবে ধরছেন।
৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি