কুমিল্লা : কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ডের ৫ মাস পূর্ণ হলো শনিবার। এ পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের তদন্ত কার্যক্রমও দৃশ্যত স্থবির হয়ে আছে। এদিকে ডিএনএ নমুনা পরীক্ষায় ৩ জনের শুক্রানু পাওয়া গেলেও ঘাতকদের গ্রেফতারে বা মামলার তদন্তে দৃশ্যমান কোনও অগ্রগতি নেই। এ নিয়ে তনুর বাবা-মা ও স্বজনরা মামলার ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন।
গত ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাসের অভ্যন্তরে জঙ্গলে কলেজ ছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় তনুর বাবা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহায়ক ইয়ার হোসেন বাদী হয়ে ২১ মার্চ কোতয়ালী মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা ঘাতকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। কিন্তু এ হত্যাকাণ্ডের ৫ মাস পূর্ণ হলেও এ পর্যন্ত ঘাতকদের শনাক্ত বা আসামি গ্রেফতারে দৃশ্যমান কোনও অগ্রগতি নেই। সিআইডি সন্দেহভাজনসহ সামরিক-বেসামরিক অর্ধশতাধিক ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নিলেও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত বা গ্রেফতার করা হয়নি।
এছাড়া এ হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন বা ডিএনএ নমুনায় ৩ জন পাশবিক নির্যাতনকারীর শুক্রানু পাওয়া গেলেও ডিএনএ নমুনা ম্যাচিং কার্যক্রমও শুরু করতে পারেনি সিআইডি।
সিআইডি-কুমিল্লার বিশেষ পুলিশ সুপার ড. মো. নাজমুল করিম খান বদলীর পর গত ২৫ জুলাই এ পদে যোগদান করেন শাহরিয়ার রহমান। তিনি তনুর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও ঘাতকদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়েছিলেন। এরপর থেকে সিআইডি’র কোনও তৎপরতা দেখা যায়নি।
এদিকে গত ৪ এপ্রিল ও ১২ জুন দুই দফা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে তনুর মৃত্যুর কারণ খুঁজে না পাওয়া, সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে মেলানোর (ম্যাচ) কার্যক্রম শুরু করতে না পারা, প্রথম তদন্ত তদারক কর্মকর্তার বদলি এবং মামলার তদন্তেও কোনও অগ্রগতি না থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তনুর বাবা-মা।
তনুর বাবা ইয়ার হোসেন ও মা আনোয়ারা বেগম বলেন, ৫ মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও খুনীদের কেউ এখন পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি। জানি না মেয়ে হত্যাকারীদের গ্রেফতার বা বিচার দেখে যেতে পারবো কি না।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সিআইডির পরিদর্শক গাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, মামলাটি তদন্তাধীন আছে, তাই এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না তিনি।
২০ আগস্ট, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম