কুমিল্লা থেকে : ন্যায্য দামে বেচতে না পেরে রাগে-ক্ষোভে ও দুঃখে কোরবানির পশুর কাঁচাচামড়া গোমতী নদীতে ফেলে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। যে দামে চামড়া কিনেছেন, সেই দামের চেয়ে কম দাম বলছেন পাইকাররা।
তাই হতাশ হয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা চামড়া ধরে ধরে নদীতে ঢিল মেরে ফেলছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুমিল্লার সবচেয়ে বড় চামড়া বাজার নগরীর ঋষিপট্টিতে প্রতি বছর কোরবানির ঈদের পর চামড়া বেচাকেনার হিড়িক পড়ে। কিন্তু এবারের চিত্র উল্টো। এবার আড়তদাররা চামড়া কিনছেন খুবই কম।
ঋষিপট্টির আড়তদাররা জানান, পাড়া-মহল্লা থেকে সংগ্রহ করা চামড়া বিক্রি করতে পারেননি। পাইকাররা দাম বলছে না। পাইকাররা যে দাম বলছে, সেটি ক্রয়মূল্যের চেয়েও অনেক কম। এমতাবস্থায় লবণ দিয়ে চামড়া সংরক্ষণের ঝুঁকি নিতে চাইছেন না তারা। চামড়া নদীতে ফেলে দিচ্ছেন তারা। অনেকে মাটিতে পুঁতে ফেলছেন।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, ৬০০ টাকা দরে ২৪৫টি চামড়া কিনেছিলাম। কিন্তু পাইকাররা এখন চামড়া প্রতি ২০০ টাকার বেশি দিতে চাইছেন না। এমতাবস্থায় কী করব। হতাশ হয়ে গোমতী নদীতে চামড়া ফেলে দিয়েছি।
ব্যবসায়ীরা জানান, বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রাকে করে চামড়া শহরে এনে বিক্রি করে ট্রাক ভাড়ার টাকাই ওঠেনি কারও কারও। তাই ট্রাকে করে শহরে চামড়া নিয়ে আসা বুড়িচং উপজেলা ও সদরের পাঁচথুবী ইউনিয়নের চামড়া ব্যবসায়ীরা হতাশা প্রকাশ করে ব্রিজ থেকে গোমতী নদীতে কাঁচাচামড়া ফেলে দেন।