মাহফুজুর রহমান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: ক্লাসরুম সঙ্কট নিরসন, পর্যাপ্ত ল্যাব সুবিধা নিশ্চিতকরণ ও শিক্ষক সংকট সমাধানের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ ও ভিসি বরাবর স্মারক লিপি প্রধান করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষধের শিক্ষার্থীরা।
আজ রবিবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠাল তলা থেকে শুরু করে মিছিলটি প্রশাসনিক ভবন হয়ে পূনরায় কাঠাঁল তলায় গিয়ে শেষ হয়। এরপর সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীদের গণস্বাক্ষরসহ বিশ^বিদ্যালয় ভিসি বরাবর স্মারক-লিপি প্রধান করে শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ ব্যাচের শিক্ষার্থী, ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের পার্থ চক্রবর্তী একই বিভাগের ৭ম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাইয়্যেদ মাখদুম উল্লাহ বলেন, ‘আমাদের বিভাগে ৭টি ব্যাচের বিপরীতে ক্লাস রুম আছে মাত্র একটি। প্রতিবছর নতুন ব্যাচ ভর্তি হচ্ছে কিন্তু রুম সংকটের কারণে যথাসময়ে বের হতে পারছেনা কোন শিক্ষার্থী। দেখা যােয় এক ব্যাচের ক্লাস হলে অন্যরা ক্লাসের জন্য অন্য বিভাগের ক্লাসরুমে যেতে হয়। এক ব্যাচের পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে অন্য কিছুই করা সম্ভব হয় না। এর জন্য নিয়মিত কোর্স শেষ করতে না পেরে প্রতিটি ব্যাচেই সেশন জট আরো লেগেই আছে।’
কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইজ্ঞিনিয়ারিং বিভাগের ৮ম ব্যাচের শিক্ষার্থী তাহমিদা আউয়াল সুপ্তি বলেন ‘আমাদের ৮টি ব্যাচ, রুম সংখ্যা মাত্র একটি। তাই ঘন্টার পর ঘন্টা ক্লাস করার জন্য আমাদের দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। ল্যাব যে একটি আছে তার অবস্থাও মানসম¥ত নয়। ফলে আমাদের ভোগান্তির মাত্রা বেড়েই চলছে।’
আন্দোলনের আহবায়ক, বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ ব্যাচের আইসিটি বিভাগের শিক্ষার্থী আলাউদ্দিন বলেন ‘আমাদের ক্লাসরুম সংকটের কারণে ৪ বছরের স্নাতক শেষ করতে হচ্ছে ৬ বছরে। সিএসই বিভাগের আট বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত মাস্টার্স শেষ করে বের হতে পারেনি কোন শিক্ষার্থী। একই অবস্থা আইসিটি বিভাগেরও। প্রতিষ্ঠার ৭ বছরেও বের হয়নি কোন শিক্ষার্থী।
সিএসই বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান এ ব্যাপারে জানান, ‘এই বিষয়ে বলার মত আমার কিছুই নেই। শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছে সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। তবে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে রুম সংকটে সমাধানের চেষ্টা করছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো: আইনুল হক বলেন ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যৌক্তিক। আমরা রুম সঙ্কট সমাধানের চেষ্টা করছি। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে যেহেতু নির্মাণ কাজ চলছে, সেহেতু খুব শীঘ্রই তাদের সমস্যার সমাধান হবে।’
১৩ মার্চ, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস