কুমিল্লা : কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের মেধাবী ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যার পর দেশজুড়ে এই নিয়ে চলছে নানান আলোচনা সমালোচনা। তবে এরই মধ্যে তনুকে নিয়ে নির্মিত হলো স্বল্পদৈর্ঘ চলচ্চিত্র 'আমি তনু।' এই স্বল্পদৈর্ঘ চলচ্চিত্রের রচনা চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন জেসন সোহেল। সম্পাদনা করেছেন আহমেদ শিবির। চিত্রগ্রাহক ছিলেন মোস্তাক মোরশেদ। এতে তনু চরিত্রে অভিনয় করেছেন জেসমিন জেসি।
এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন আল আমিন রুবেল। ছবির পুরোটা সময় জুড়ে ক্যামেরায় একটা হাহাকার ফুটে উঠেছে। ইতোমধ্যে 'আমি তনু' ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়া ইউটিউবে অবমুক্ত করা হয়েছে। ভিডিওটি এখন পর্যন্ত ৭৮ হাজার দর্শক দেখেছেন। এক কথায় বলাচলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এখন তা ভাইরালের মতো ছড়িয়ে পড়েছে।
পরিচালক জেসন সোহেলের কথায়, আপনি আমি আমারা সবাই তো মানুষ। কিন্তু মানুষ হয়ে জন্মেগ্রহণ করার পরও আমাদের আচার আচরণ যদি পশুর মতো হয়, তাহলে আমার মতে এই পৃথিবীতে আমাদের জন্মই বৃথা। আমরা চেয়েছিলাম তনুর মৃত্যুর আগে কিছু অজানা কথা আমাদের এ গল্পে তুলে ধরতে। তবে তা কতটুকি পেরেছি সেটি এখন আপনাদের হাতের নাগালেই রয়েছে। দেখেই বিচার করতে পারবেন।
তিনি বলেন, একটা মানুষ কতটা আসা নিয়ে বেঁচে থাকে তা বোঝার ক্ষমতাই হয়তো এখনো আমাদের হয়নি। আমাদের এই ছোট্ট কাজটি তখনই সফলতা পাবে যখন আমরা তনুর মতো আর কাউকে এভাবে অকালে প্রাণ হারাতে দেখবো না। আমি চেষ্টা করেছি আমাদের পরাজয়ের জায়গাটা সাবার সামনে তুলে ধরতে। জানিনা কতটুকু করতে পেরেছি।
উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ রোববার রাতে তনুকে কুমিল্লাহ সেনানিবাস এলাকায় হত্যা করে হায়েনারূপী দুর্বৃত্তরা। ওইদিন রাতে সেনানিবাস এলাকা থেকে তনুর লাশ উদ্ধার করা হয়। ২১ মার্চ সন্ধ্যায় তনুকে তাদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামে দাফন করা হয়। অধিকতর আলামত সংগ্রহের জন্য আবার তনুর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।
৬ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই