কুমিল্লা : মধুমাস জৈষ্ঠ্য। রকমারি মৌসুমী ফলে ভরপুর বাজার। কিন্তু তাতে ওদের কি? ওরা তো এতিম, তাই জৈষ্ঠ্য আর ভাদ্র মাসে কোন পার্থক্য নেই। ফলে সমাজের পিছিয়ে পড়া ও বঞ্চিত দরিদ্র পরিবারের এসব শিশুদের জন্য ব্যতিক্রমী আয়োজন করা হয়েছে।
কুমিল্লায় এতিম শিশুদের জন্যে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো মৌসুমী ফলের উৎসব। সরকারি শিশু পরিবারে নানা জাতের ফল নিয়ে এ ফল উৎসবের আয়োজন করা হয়। এতে অনেক রকমের ফলের সমারোহ ঘটানো হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর সংরাইশ শিশু পরিবারে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল। এ সময় তিনি নিজেও এতিম শিশুদের জন্যে প্রচুর পরিমাণ ফলমূল নিয়ে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
রসালো মৌসুমী ফলের জমজমাট এ উৎসবে ছিল আম, কাঁঠাল, জামরুল, সফেদা, লিচু, আনারস, আমলকি, করমচা, আনার, কলা, ডেউয়া, লটকন প্রভৃতি বাহারি ফল।
গানের সঙ্গে নেচে নেচে উৎসব শুরু করে সরকারি শিশু সদনের এতিম শিশুরা। এরপর একে একে বেশ কয়েকটি নৃত্য প্রদর্শন করে শিশুরা। একেতো মৌসুমী ফলের মৌ মৌ গন্ধ, তার ওপর নাচে-গানের অপরূপ মুর্ছনায় ভরে তোলে শিশুরা। পরে জেলা প্রশাসক সরকারি শিশু পরিবারের এতিম শিশুদের মাঝে ফল বিতরণ করেন। এ সময় সকলকে ফল দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক হাসিনা মুর্শেদ।
এছাড়াও আদর্শ সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা রূপালী মণ্ডল, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তামজিদ আহমেদ, এনডিসি রাকিব হাসান, সংরাইশ সালেহা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল মতিন মোল্লা, ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন খোকন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, সংরাইশ সরকারি শিশু পরিবারের তত্ত্বাবধায়ক হেলানা নূর।
উৎসবে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘ফলের জন্য বাংলাদেশের বিশেষত্ব আছে। দেশীয় মৌসুমী ফল আমাদের চিরায়ত ঐতিহ্য যা মানুষকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও খাদ্যপ্রাণের যোগান দেয়। শিশুদের সুস্থ ও সবল রাখতেও ফলের কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু দেশীয় ফলের যে আলাদা বৈশিষ্ট্য ও স্বাদ তা আমরা অনেক সময় ভুলে যাই।’
পরে জেলা প্রশাসক শিশুদের বিনোদন ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের সুবিধার্থে একটি বড় আকারের এলইডি টেলিভিশন উপহার দেন।
২০ মে, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএম