মারুফ হোসেন, শিবালয় (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মাদার অফ স্পোর্টস হিসাবে ঘোষণা দিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবির পরিচালক মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয়। এ সময় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু মাদার অফ হিউমিনিটি নয়। কারণ আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ ক্রীড়া জগতে সবক্ষেত্রে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে ক্রিকেট খেলায় আজ বাংলাদেশে বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
সদ্য ওয়েস্ট ইন্ডিসের সঙ্গে টেস্ট সিরিজে এক ইনিংস পরাজয়সহ দুইটি ম্যাচে তাদের হোয়াটওয়াশ করেছে। এ সকল কিছু সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসির জন্য। কারণ তিনি খেলা অবকাঠামোর মান উন্নয়নে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। পাশাপাশি মাঠে থেকে বিভিন্ন সময় খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করেছেন। এ ছাড়া বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজাকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন। তার শাসনকালে ক্রীড়া জগতে ব্যাপক সাফল্যোর কারণে আমি একজন সাবেক ক্রিকেট খেলোয়াড় হিসাবে প্রধানমন্ত্রীকে মাদার অফ স্পোর্টস উপাধি ঘোষণা করছি।
সোমবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জের শিবালয়ের দাশকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট গোলাম মহিউদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক তায়েবুর রহমান টিপু, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহিম খান, জেলা পরিষদের সদস্য মাহাবুর রহমান জনি, শিবালয় উপজেলা আ. লীগের সভাপতি রেজাউর রহমান খান জানু, জনি, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কদ্দুস, ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ সেলিম রেজা, যুবলীগ নেতা মাহফুজুর রহমান অনিসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের সর্বস্তরে নেতা-কর্মীরা।
বিসিবির পরিচালক আরো বলেন, বাংলাদেশে সব কিছুরই বিকল্প আছে। শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প নাই। তিনি ক্ষমতায় আসার পর সারা দেশের ন্যায় মানিকগঞ্জ-১ আসন (শিবালয়, ঘিওর ও দৌলতপুর) ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তাই সকল ভেদাভেদ ভুলে নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করতে হবে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবারও পুনরায় নৌকা মার্কায় ভোট প্রার্থনা করেন।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে এ আসনে বড় বড় নেতা ছিল। শুধুমাত্র সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছাড়া তারা কি করেছেন। পরে তিনি ঘিওর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতো বিনিময় করেন।-কালের কণ্ঠ