 
                                        
                                        
                                       
                                        
                                             
                                                                                    
নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনের প্রতিবাদে হেফাজতে ডাকা বিক্ষোভ ও হরতাল থেকে সৃষ্ট সহিংসতায় অন্তত ১৭ জনের প্রাণহানী ও নজিরবিহীন তাণ্ডবের রেশ এখনো কাটেনি। এরই মধ্যে ঢাকার কাছে মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলায় ইসলামপন্থী সংগঠনটি নতুন করে সমাবেশের ডাক দেওয়ায় জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছিল। তবে পুলিশ ও প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের কারণে শেষ পর্যন্ত পিছু হটেছে হেফাজত। সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় হেফাজতে ইসলামের সহিংস বিক্ষোভের সময় মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (০৮ এপ্রিল) সিরাজদিখান উপজেলায় বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছিল সংগঠনটি।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারির পর বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে পিছু হটে হেফাজতে ইসলাম। বুধবার সন্ধ্যায় তারা সমাবেশ স্থগিতের ঘোষণা দেয়।
এর আগে মুন্সিগঞ্জের পুলিশ সুপার আব্দুল মোনেম এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ১৪৪ ধারা অমান্য করে হেফাজতে ইসলাম যদি সভা-সমাবেশ কিংবা লোক জড়ো করার চেষ্টা করে তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোনওভাবেই ছাড় দেয়া হবে না।
মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল জানিয়েছেন, যে কোন ধারণের সংঘাতের আশংকায় ৫০০'র বেশি পুলিশ সদস্য ওই এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে। হেফাজত যাতে কোনভাবেই আজকের এই সমাবেশ করতে না পারে সেজন্য সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় সভা-সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
মুন্সিগঞ্জের স্থানীয় সাংবাদিক মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল জানিয়েছেন, বুধবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১০টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে কেয়াইন ইউনিয়নের কুচিয়ামোড়া কলেজ মাঠ এবং নিমতলা বাসস্ট্যান্ডসহ চারটি জায়গায়।
এদিকে, হেফাজতে ইসলামের সহকারী প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ ফয়সাল জানিয়েছেন, "এরই মধ্যে সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে এবং মুন্সিগঞ্জের ওই এলাকায় হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা জড়ো হবেন না। করোনা পরিস্থিতিতে আমরা নিজেরাই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এছাড়া, প্রশাসনের তরফ থেকেও আমাদের স্থানীয় নেতৃবৃন্দের কাছে অনুরোধ করা হয়েছিল।"