নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির কমিটিতে নিষ্ক্রিয় নেতাদের স্থান দেয়ার জন্য বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহানকে দায়ী করেছেন নারায়ণগঞ্জ বিএনপির একাংশ।
শনিবার বিকেলে শহরের মন্ডলপাড়াস্থ বিএনপির কার্যালয়ে এক প্রতিবাদ সভায় এ ঘোষণা দেন বিএনপির সিনিয়র নেতা আবদুল মজিদ।
বিলুপ্ত শহর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অারও উপস্থিত ছিলেন জামালউদ্দিন কালু, মহানগর বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুরুজ্জামান, আবদুল হামিদ খান ভাষানী, নুরুল হক চৌধুরী দিপু প্রমুখ।
শহর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম জানান, সম্মেলনের মাধ্যমে গঠিত কমিটিকে পাশ কাটিয়ে অগঠনতান্ত্রিক ভাবে সংস্কারপন্থী, বিএনএফ, বিকল্পধারা ও কল্যাণ পার্টির নেতাকর্মীদের নিয়ে সদ্য গঠিত নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটিতে অনেকেই স্থান পেয়েছে যারা বিগত ৮ বছরে একদিনও আন্দোলনে মাঠে নামেনি ও মামলার আসামিও হয়নি। এমন কি জেলেও যায়নি। অথচ আমরা যারা এতো মামলার আসামি হয়ে দীর্ঘদিন পলাতক ছিলাম। অনেকেই দীর্ঘদিন জেলহাজতে ছিলাম।
জেলখানায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালেও চিকিৎসাধীন ছিলাম। কিন্তু আমাদের না ডেকে নিস্ক্রিয় নেতাদের দ্বারা কমিটি গঠন করা হয়েছে। নেত্রীকে ভুল তথ্য দিয়ে কতিপয় ধান্দাবাজ কেন্দ্রীয় নেতারা রাজপথের নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এজন্য আমরা প্রতিবাদ সভা করেছি। অচিরেই জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রকৃত চিত্র নেত্রীর কাছে তুলে ধরা হবে।
জাহাঙ্গীর আরও বলেন, আমাদের না ডেকে, মতামত না নিয়ে উপদেষ্টা করা হয়েছে। আমরা এই কমিটি মানি না। সভায় বিএনপির সিনিয়র নেতা ও সদ্য ঘোষিত মহানগর বিএনপিতে উপদেষ্টা আবদুল মজিদ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহানকে নারায়ণগঞ্জে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটিতে গত কমিটির সেক্রেটারি কাজী মনিরুজ্জামানকে করা হয়েছে সভাপতি। আর অনেকটা চমক নিয়েই সেক্রেটারি হয়েছেন জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মামুন মাহমুদ।
অপরদিকে, সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালামকে সভাপতি ও এটিএম কামালকে সেক্রেটারি করে ২৩ সদস্যের মহানগর বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়। পরদিন ১৪ ফেব্রুয়ারি আংশিকভাবে ২৬ সদস্যের জেলা কমিটি ও ২৩ সদস্যের মহানগর কমিটির অনুমোদন দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দুইটি আংশিক কমিটিকে পরের ৩০ দিনের মধ্যে ১৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনেরও নির্দেশনা রয়েছে অনুমোদন পত্রে।
এদিকে, কমিটিতে নিস্ক্রিয় ও বিতর্কিত নেতাদের পদ দেয়ার প্রতিবাদে গত ২০ ফেব্রুয়ারি এক প্রতিবাদ সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৭/এমটিনিউজ২৪ডটকম/এইচএস/কেএস