নিউজ ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জ শহরে হকার উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী ও সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমানের মধ্যে দ্বন্দ্ব নিয়ে যে আশঙ্কা করা হচ্ছিল তাই সত্য হয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে মঙ্গলবার বিকালে বন্দর নগরীর আহত হয় অন্তত ৫০ জন। এদের একজন স্বয়ং মেয়র আইভী। আর উপরের ছবি দেখে বুঝা যাচ্ছে কীভাবে আইভীকে রক্ষা করছে তার সমর্থকেরা।
ডিসেম্বরের শেষ দিকে নগরী থেকে হকার উচ্ছেদ করেছিল সিটি করপোরেশন। আর তাদেরকে বসতে দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন শামীম ওসমান। সোমবার তিনি মেয়রকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন, হকাররা নারায়ণগঞ্জে বসবে, এটা তার অনুরোধ নয়, এটা তার নির্দেশ। মেয়র আইভীও জবাব দেন এভাবে যে, নারয়ণগঞ্জ শহর শামীমের এলাকা না। এখানে তার নির্দেশ চলবে না।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, শামীম ওসমান আমার ওপর হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। নির্দেশ পেয়ে তার লোকজন ইট-পাটকেল ছোড়ে। এতে আমি আহত হই।
মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর সাধুপৌলের গির্জার কাছে হকারদের হামলায় আহত হওয়ার পর নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে গিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন মেয়র অাইভী।
তিনি বলেন, এটা নিরস্ত্র লোকের সশস্ত্র হামলা। মৃত্যুকে আমি ভয় পাই না। শান্তিপূর্ণভাবে হেঁটে আসছিলাম। চাষাঢ়ার রাইফেলস ক্লাবে বসে শামীম ওসমান আমার ওপর হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। নির্দেশ পেয়ে তার লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়।
এ সময় মেয়র আইভী অবিলম্বে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের পদত্যাগ দাবি করেন। মেয়র আইভী বলেন, ঘটনাস্থল চাষাঢ়ায় পুলিশ থাকলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। শামীম ওসমানের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিল পুলিশ।
পুলিশের নীরব ভূমিকার ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার মইনুল হক বলেন, আমরা উভয় পক্ষকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছি। জানমালের নিরাপত্তা দিতে চেষ্টা করেছি। আমাদের কোনো গাফিলতি ছিল না।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস