নারায়ণগঞ্জ থেকে : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় এক নারীর কাছ থেকে দলিল করে ১১ লাখ ৭৪ হাজার টাকা ধার নেন এক এনজিও কর্মকর্তা। এক বছর পর সেই টাকা ফেরত চাইলে ওই নারীকে এনজিও অফিসে বসিয়ে রেখে ৯৯৯ এ ফোন করে বলেন 'আমাকে হ'ত্যার উদ্দেশে অপহ'রণ করা হয়েছে বাঁচান'।
এমন অভিযোগে দ্রু'ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চার দিক ঘিরে ফেলেন। এরপর কৌশলে পুলিশ এনজিও অফিসে প্রবেশ করে। সেখানে গিয়ে একজন পুরুষের পাশে আরেকজন নারীকে বসে থাকতে দেখে অবা'ক হয়ে তাদের কাছে যান পুলিশ।
এরপর শুনেন উ'ল্টো ঘটনা। বুধবার রাতে ফতুল্লার পাগলা প্যারাডাইস সিটি এলাকায় 'যুব সমাজের আলো' নামে এনজিও অফিসে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ দুজনকে থানায় নিয়ে আসেন এবং পাওনাদার নারীর অভিযোগে ওই এনজিও কর্মকর্তার নামে মামলা গ্রহণ করে পুলিশ।
এর সত্যতা নিশ্চিত করে বৃহস্পতিবার রাতে ফতুল্লা মডেল থানার এসআই মোফাজ্জল করিম জানান, ফতুল্লার পশ্চিম নয়ামাটি এলাকার নূর মোহাম্মদের স্ত্রী আয়েশা আক্তার (৪০) কর্জনামা দলিলের মাধ্যমে পাগলা প্যারাডাইস সিটি এলাকার 'যুব সমাজের আলো' নামে এনজিও অফিসের নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলামকে ২০১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর ১১ লাখ ৭৪ হাজার ৭৫০ টাকা ধার দেন।
এরপর সেই টাকা দেই দিচ্ছি বলে সময় ক্ষে'পণ করতে থাকে। বুধবার রাতে আয়েশা আক্তার তার টাকার জন্য এনজিও অফিসে গিয়ে রফিকুলের উপর চা'প প্রয়োগ করেন। তখন রফিকুল তাকে নানাভাবে ভ'য়ভী'তি দেখান। এতে আয়েশা আক্তার ভী'তু না হয়ে এনজিও অফিসেই বসে থাকেন। তখন পুলিশ দিয়ে ভয় দেখাতে রফিকুল ৯৯৯ এ ফোন করে মি'থ্যা তথ্য দেন।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, দেশবাসীর জন্য ৯৯৯ একটি জরুরি পুলিশ সেবা নম্বর। এ নম্বরে প্র'তা'রক রফিকুল ইসলাম ফোন করে মি'থ্যা তথ্য দিয়ে পাওনাদারকে ভ'য় দেখাতে চেয়েছিল। তার বি'রু'দ্ধে অন্যের টাকা আ'ত্মসা'তের অনেক অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে আয়েশা আক্তার বাদী হয়ে মামলা করেছেন।