নারায়ণগঞ্জ থেকে : করোনায় আক্রা'ন্তদের দাফন কাফন ও সৎকারে এগিয়ে আসা দেশ বিদেশে আলোচিত কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ করোনা ভাইরাসে আক্রা'ন্ত হয়েছেন। শনিবার (৩০ মে) তার রিপোর্টে পজিটিভ আসে। এর আগে তার স্ত্রী করোনায় আক্রা'ন্ত হয়ে আইসোলেশনে রয়েছেন।
করোনার সং'কটকালে আর্ত'মানবতার সেবায় এগিয়ে আসার জন্য নারায়ণগঞ্জ শহরের লোকজন খোরশেদকে মানবতার ফেরিওয়ালা উপাধি দিয়েছে। কাউন্সিলর খোরশেদ জানান, বুধবার জ্বর আসে এবং ঘাম দিয়ে ছেড়েও যায়। পরে শুক্রবার খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নমুনা জমা দিই। আমি আজ (শনিবার) রিপোর্ট পেয়েছি এতে আমার দেহে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। আমি গতকাল পর্যন্ত ৬১টি লাশ দাফন করেছি। আমি এখন আইসোলেশনে চলে গেছি নিজ বাড়িতেই। আমি নিজেই চিকিৎসা নেব বাড়িতে থেকে। সকলের কাছে আমার সুস্থতার জন্য দোয়া চাইছি।
তিনি জানান, 'আমি আক্রা'ন্ত হলেও আমার সকল কার্যক্রম চলবে। আমার টিম সক্রিয় থাকবে, আমার ফোন চালু থাকবে। আমি যতদিন বেঁচে আছি করোনা যু'দ্ধ থেকে এক বিন্দুও নড়ব না।' খোরশেদ নিজের উদ্যোগে করোনার শুরু থেকেই তার ওয়ার্ডের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করেন, হ্যান্ড স্যানিটাইজার সঙ্কট হওয়ার পর নিজে হাজার হাজার বোতল তৈরি করে বিতরণ করেন। ঘরে ঘরে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন। করোনায় আক্রা'ন্তদের দাফনের পাশাপাশি সৎকার কাজেও অংশ নিচ্ছেন।
এলাকায় সড়কে ও ঘরে জীবাণুনা'শক স্প্রে করছেন, যানবাহন জীবাণুমুক্ত করতে স্প্রে অব্যাহত রেখেছেন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে অনলাইন ও মাইকে ঘরে ঘরে দোয়ার ব্যবস্থা করেছেন, মানুষকে সচেতন করতে নিয়মিত প্রতি এলাকায় মাইকিং করাচ্ছেন, নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে টিম গঠন করে এলাকায় এলাকায় আড্ডা বন্ধ করতে অনুরোধ করছেন এবং তার ওয়ার্ডবাসীর স্বাস্থ্যসেবা ও পরামর্শে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে টেলি মেডিসিনসেবা চালু করেছেন তিনি।
এ ছাড়া শুধু তার ওয়ার্ড নয়, নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার করোনা আক্রা'ন্ত ব্যক্তিদের মরদেহ দাফনে কেউ এগিয়ে না এলেই তিনি ও তার স্বেচ্ছাসেবক টিম এগিয়ে আসছেন। তার ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন এলাকায় তিনি বিনামূল্যে সবজি বিতরণ কার্যক্রমও করেছেন।