বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন, ২০২০, ০৬:৩৫:৪৬

মোবাইলের ব্যাটারি দিয়ে লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা ঘুড়ি বানান মিনু, রাতের আকাশে দেখায় তারার মতো

মোবাইলের ব্যাটারি দিয়ে লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা ঘুড়ি বানান মিনু, রাতের আকাশে দেখায় তারার মতো

মদন (নেত্রকোনা) : করোনাভাইরাসে স্তব্ধ সমস্ত পৃথিবী। ঘরব'ন্দি মানুষ। আয়-রোজগারের পথ প্রায় বন্ধ। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে অসহায় দিনমজুর। সংসার চালাতে খুঁ'জছেন নতুন পথ। নেত্রকোনা মদনের এমনি এক অস'হয় দিনমজুরের নাম মিনু মিয়া (৬৫)। মদন উপজেলার মদন ইউনিয়ের কুলিয়াটি পশ্চিম পাড়ায় তার বসবাস। তিনি সংসার চালানোর জন্যে এক নতুন পথ বেছে নিয়েছেন। তিনি এখন ঘুড়ি বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন। করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই কাজ করা যায়। বর্তমানে নেত্রকোনাসহ সারা দেশে ঘরব'ন্দি মানুষের একমাত্র বিনোদনের উৎস হয়ে উঠেছে ঘুড়ি ওড়ানো। দিন ও রাতের আকাশে উড়ছে রঙবেরঙের ঘুড়ি। এখন দিনের ন্যায় রাতের আকাশে ঘুড়ি বেশি উড়তে দেখা যায়। মিনু প্রায় ৩ মাস ধরে ঘুড়ি বিক্রি করে তার সংসার চালাচ্ছেন।

ঘুড়ি বিক্রেতা মিনু মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি জানান, করোনার কারণে রোজগারের সব পথ বন্ধ হয়ে যায়। ঘর হতে বের হতে পারতাম না। কোনো কাজ ছিল না। কিভাবে সংসার চালাব ভেবে পাচ্ছিলাম না। হঠাৎ দেখি মানুষ ঘুড়ি বানিয়ে ওড়াচ্ছে। তখন আমিও একটা ঘুড়ি বানিয়ে ওড়াই। এর পর থেকেই  এভাবে আমি ঘুড়ি বানিয়ে বিক্রি করতে শুরু করি। এখন আমার ঘুড়ি বানানোর চাহিদা বেড়ে গেছে।

এ পর্যন্ত তিনি ছোট বড় প্রায় ৪০০ ঘুড়ি তৈরি করে বিক্রি করেছেন। তার তৈরি একটি ঘুড়ির দাম ৩০০-১০০০ টাকা। তিনি প্রতিদিন ৪-৫ টা ঘুড়ি তৈরি করতে পারেন। এসব ঘুড়ি তৈরিতে বাঁশ, কাগজ, পলিথিন ইত্যাদি ব্যবহার করেন। এমনকি রাতে ওড়ানোর জন্যে ঘুড়িতে মোবাইলের ব্যাটারি দিয়ে লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়। এই ঘুড়িগুলো রাতের আকাশে তারার মতো দেখায়। 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে