এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : নেত্রকোনা জেলার বৃক্ষপ্রেমিক আনোয়ার জাহিদ মল্লিক ওরফে ওয়াসীম। তিনি বারি-১১ জাতের বারোমাসি আমের চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। মৌসুম ছাড়া আম উৎপাদন করে তাক লাগিয়েছেন তিনি। বারোমাসি এই আমের অনেক চাহিদা থাকায় প্রতিদিন বিভিন্ন স্থানে আম সরবরাহ দিচ্ছেন।
জানা যায়, আনোয়ার জাহিদ মল্লিক ওরফে ওয়াসীম গাছ লাগাতে খুব ভালোবাসেন। প্রায় ১২০ শতক জমিতে তার একটি ফলবাড়ি রয়েছে। তার বাড়িতে প্রায় ১৭০ জাতের ফলের গাছ রয়েছে। প্রায় ৪০ প্রজাতির আম, ৮৫টি কাঁঠাল গাছ, ৮টি জাম, ৬টি কমলা, ৫টি লিচু গাছ রয়েছে।
এ ছাড়া পেয়ারা গাছ ১০টি, ড্রাগন গাছ ৬টি, ৪০টি লটকন গাছসহ পেঁপে, সুপারি, গোলাপ জাম, নারিকেল, আঙুর, কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, ট্যাংফল, কামরাঙ্গা, অড়বরই, নাশপাতি, কুল, তেঁতুল, ডেওয়াফল, চালতা, সফেদা, লঙ্ঘান/আশফল, বিলম্বু, আনারস, কলা, বেল, থাই জাম্বুরা, করমচা, জামরুল, আমড়া, আনার, ডালিম, বেদানা, চেরিফল, মহুয়া ফল, রামবুটান, কতবেল রয়েছে।
আরও রয়েছে আমলকি, শরিফা, আতাফল, তৃণ ফল, অ্যাভোকাডো, করোসল, বিভিন্ন প্রজাপতির আপেল, স্ট্রবেরি, পেয়ারা, মালবেরি, বিভিন্ন প্রজাপতি আনার, পার্সিমন ইত্যাদি। ভেষজ জাতীয় রয়েছে হরতকি, বহেড়া, পাথরকুঁচি, ডায়াজেট, অ্যালোভেরা, পান বিলাপ, তুলসী, লজ্জাবতী, উলটকমল, আলোবোখরা, লবঙ্গসহ নানা প্রজাপতির বনজ ও ওষুধি গাছ।
ফলচাষি ওয়াসীম বলেন, আমি রাসায়নিক মুক্ত ফল উৎপাদন করি। তাই ফল খুব মিষ্টি ও সুস্বাদু হয়। এতে ক্রেতাদের আগ্রহ আরো বাড়ে। ৩ বছর আগে ৪০ শতক জমিতে বারি-১১ জাতের আমের চারা রোপন করি। গত বছর আম ধরলেও গাছ ছোট থাকায় বন্যার পানির কারণে তা নষ্ট হয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, এবছরও আমের ব্যাপক ফলন এসেছে। এই আমের বেশ চাহিদা রয়েছে। ইতোমধ্যে আম বিক্রি করতে শুরু করেছি। এই গাছে বছরে তিনবার আম কথা শুনলেও আমি সারাবছরই আম সংগ্রহ করতে পারছি। আমার বাগানে একই গাছে আম পাকছে, গুটি আম আছে আবার মুকুলও ধরছে। অনেকেই বাগানে এসে নিজের হাতে আম তুলে নেন। এবার প্রতি কেজি আম ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। বারি-১১ আম ছাড়াও বারি-৪ আম, মাল্টা বাগান, লেবু, সজনে ও কুল বাগান রয়েছে।
গবেষণা সূত্রে জানা গেছে, বারি আম-১১ বছরব্যাপী ফুল ও ফল দেয়। তার মধ্যে তিন সময় বেশি ফুল ও ফল দেয়। ফেব্রুয়ারি-মার্চ, মে-জুন ও আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে সবচেয়ে বেশি ফল আহরণ করা যায়। মাঝারি আকৃতির আমটির গড় ওজন ৩০০-৩৫০ গ্রাম। খেতে খুবেই মিষ্টি।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. শাহজাহান কবীর বলেন, ওয়াসীম সফলতার সাথে বারি-১১ জাতের আমের চাষ করেছেন। তার বাগানটিকে বহুমাত্রিক ফল বা সমন্বিত ফলের বাগান বলা যায়। এ ছাড়া তিনি মাল্টা চাষ করে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন। ফল চাষে তার সফলতা দেখে অনেকেই ফল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। আমরা চাষিদের সবধরনের পরামর্শ ও সহযোগীতা করে আসছি।া
ওিমে'আমার বাগানে একই গাছে আম পাকছে, গুটি আম আছে আবার মুকুলও ধরছে'
এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : নেত্রকোনা জেলার বৃক্ষপ্রেমিক আনোয়ার জাহিদ মল্লিক ওরফে ওয়াসীম। তিনি বারি-১১ জাতের বারোমাসি আমের চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। মৌসুম ছাড়া আম উৎপাদন করে তাক লাগিয়েছেন তিনি। বারোমাসি এই আমের অনেক চাহিদা থাকায় প্রতিদিন বিভিন্ন স্থানে আম সরবরাহ দিচ্ছেন।
জানা যায়, আনোয়ার জাহিদ মল্লিক ওরফে ওয়াসীম গাছ লাগাতে খুব ভালোবাসেন। প্রায় ১২০ শতক জমিতে তার একটি ফলবাড়ি রয়েছে। তার বাড়িতে প্রায় ১৭০ জাতের ফলের গাছ রয়েছে। প্রায় ৪০ প্রজাতির আম, ৮৫টি কাঁঠাল গাছ, ৮টি জাম, ৬টি কমলা, ৫টি লিচু গাছ রয়েছে।
এ ছাড়া পেয়ারা গাছ ১০টি, ড্রাগন গাছ ৬টি, ৪০টি লটকন গাছসহ পেঁপে, সুপারি, গোলাপ জাম, নারিকেল, আঙুর, কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, ট্যাংফল, কামরাঙ্গা, অড়বরই, নাশপাতি, কুল, তেঁতুল, ডেওয়াফল, চালতা, সফেদা, লঙ্ঘান/আশফল, বিলম্বু, আনারস, কলা, বেল, থাই জাম্বুরা, করমচা, জামরুল, আমড়া, আনার, ডালিম, বেদানা, চেরিফল, মহুয়া ফল, রামবুটান, কতবেল রয়েছে।
আরও রয়েছে আমলকি, শরিফা, আতাফল, তৃণ ফল, অ্যাভোকাডো, করোসল, বিভিন্ন প্রজাপতির আপেল, স্ট্রবেরি, পেয়ারা, মালবেরি, বিভিন্ন প্রজাপতি আনার, পার্সিমন ইত্যাদি। ভেষজ জাতীয় রয়েছে হরতকি, বহেড়া, পাথরকুঁচি, ডায়াজেট, অ্যালোভেরা, পান বিলাপ, তুলসী, লজ্জাবতী, উলটকমল, আলোবোখরা, লবঙ্গসহ নানা প্রজাপতির বনজ ও ওষুধি গাছ।
ফলচাষি ওয়াসীম বলেন, আমি রাসায়নিক মুক্ত ফল উৎপাদন করি। তাই ফল খুব মিষ্টি ও সুস্বাদু হয়। এতে ক্রেতাদের আগ্রহ আরো বাড়ে। ৩ বছর আগে ৪০ শতক জমিতে বারি-১১ জাতের আমের চারা রোপন করি। গত বছর আম ধরলেও গাছ ছোট থাকায় বন্যার পানির কারণে তা নষ্ট হয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, এবছরও আমের ব্যাপক ফলন এসেছে। এই আমের বেশ চাহিদা রয়েছে। ইতোমধ্যে আম বিক্রি করতে শুরু করেছি। এই গাছে বছরে তিনবার আম কথা শুনলেও আমি সারাবছরই আম সংগ্রহ করতে পারছি। আমার বাগানে একই গাছে আম পাকছে, গুটি আম আছে আবার মুকুলও ধরছে। অনেকেই বাগানে এসে নিজের হাতে আম তুলে নেন। এবার প্রতি কেজি আম ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। বারি-১১ আম ছাড়াও বারি-৪ আম, মাল্টা বাগান, লেবু, সজনে ও কুল বাগান রয়েছে।
গবেষণা সূত্রে জানা গেছে, বারি আম-১১ বছরব্যাপী ফুল ও ফল দেয়। তার মধ্যে তিন সময় বেশি ফুল ও ফল দেয়। ফেব্রুয়ারি-মার্চ, মে-জুন ও আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে সবচেয়ে বেশি ফল আহরণ করা যায়। মাঝারি আকৃতির আমটির গড় ওজন ৩০০-৩৫০ গ্রাম। খেতে খুবেই মিষ্টি।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. শাহজাহান কবীর বলেন, ওয়াসীম সফলতার সাথে বারি-১১ জাতের আমের চাষ করেছেন। তার বাগানটিকে বহুমাত্রিক ফল বা সমন্বিত ফলের বাগান বলা যায়। এ ছাড়া তিনি মাল্টা চাষ করে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন। ফল চাষে তার সফলতা দেখে অনেকেই ফল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। আমরা চাষিদের সবধরনের পরামর্শ ও সহযোগীতা করে আসছি।