নিউজ ডেস্ক : রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি হঠাৎ হু হু করে বাড়তে থাকায় জেলার ফরিদপুর সদর, চরভদ্রাসন ও সদরপুর উপজেলার পদ্মা, কুমার ও আড়িয়াল খাঁ নদ সংলগ্ন চরাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। আজ শুক্রবার পর্যন্ত তিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রায় ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি সড়ক প্লাবিত হওয়ায় চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। প্লাবিত হওয়ায় ৪৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির ওপর নজরদারি ও পরিস্থিতি মোকাবিলায় সম্ভাব্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানানো হয়।
ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গোয়ালন্দ পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি ১৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে আজ শুক্রবার সকালে বিপৎসীমার ১০৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. অরুণকান্তি বিশ্বাস জানান, বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য জেলায় মোট ২৫৩টি মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শিবপদ দে জানান, পানি প্লাবিত হওয়ায় জেলার তিন উপজেলার মোট ৪৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
জেলা ত্রাণ কর্মকতা ও জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব সাইদুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত একটি পৌর সভাসহ সদর, চরভদ্রাসন ও সদরপুর উপজেলার ১৩ ইউনিয়নের মোট আট হাজার ২৩৭টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এ পর্যন্ত সহায়তা হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১১৮ মেট্রিক টন চাল ও নগদ তিন লাখ টাকা। এছাড়া সদরপুরে একটি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে ৬০টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।
তিনি বলেন, বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্স হয়েছে।
এমটিনিউজ২৪ডটকম/এইচএস/কেএস