রাজবাড়ী : রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নে দুই সন্তানের জননী জরিনা বেগমকে (২৫) হত্যার অভিযোগে প্রবাসী স্বামী ওলি উদ্দিন বেপারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সকালে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিহত গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় গৃহবধূর ভাই মো. হানিফ শেখ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন।
নিহত জরিনা বেগম উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের দুলাল বেপারী পাড়া গ্রামের ওলি উদ্দিন বেপারীর স্ত্রী ও ফরিদপুর সদর উপজেলার ডাঙ্গি গ্রামের ইয়াকুব আলী শেখের মেয়ে।
এলাকাবাসী ও নিহত গৃহবধূর স্বজনরা জানান, দীর্ঘদিন সৌদিআরব থাকার পর কিছুদিন আগে দেশে ফিরেন ওলি। দেশে ফেরার কয়েকদিন পর স্থানীয় এক গৃহবধূর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান তিনি।
এরপর থেকে ওলি ও জরিনার সংসারে শুরু হয় অশান্তি। এ নিয়ে স্ত্রী জরিনাকে প্রায়ই মারধর করতেন এবং হত্যার হুমকি দিতেন ওলি। এরই ধারাবাহিকতায় পরকীয়ার জের ধরে স্ত্রীকে হত্যা করেন তিনি।
নিহত গৃহবধূর ভাই জয়নাল শেখ বলেন, মঙ্গলবার রাতে আমার বোনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মুখে বিষ ঢেলে রাত আড়াইটার দিকে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় এবং মরদেহ ফেলে পালিয়ে যায় ওলি। পরকীয়া প্রেমের কারণে আমার বোনকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এ হত্যার বিচার চাই।
গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাপস কুমার বলেন, ওই গৃহবধূকে হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়েছে। গৃহবধূর মৃত্যু অস্বাভাবিক মনে হওয়ায় পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পরে মরদেহ নিয়ে যায় পুলিশ।
গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের ওসি এজাজ শফী বলেন, প্রাথমিক তদন্তে পরকীয়ার জের ধরে গৃহবধূ জরিনাকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে প্রচারের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি আমরা। গৃহবধূর মরদেহ রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর ভাই মো. হানিফ শেখ বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। ইতোমধ্যে মামলার প্রধান আসামি ওলি উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।