রাজবাড়ী: সাহসিকতা, গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, সততা ও ন্যায়-নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করায় রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা পাচ্ছেন রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি, বিপিএম।
আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি পুলিশ সেবা সপ্তাহ-২০১৯ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে এ পদক তুলে দিবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আসমা সিদ্দিকা ২০১৮ সালের ৫ মার্চ রাজবাড়ী জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন। ওই বছরেই তিনি পুলিশ সপ্তাহ-২০১৮ তে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক বিপিএম -সেবা’ পদকে ভূষিত হন।
আসমা সিদ্দিকা মিলি, বিপিএম মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার দারিয়পুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ হামিদ মিয়া ও রিজিয়া খানমের কন্যা। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। ২৪তম বিসিএসে তিনি উত্তীর্ণ হয়ে ২০০৫ সালে পুলিশ ক্যাডারে যোগ দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন আসমা সিদ্দিকা মিলি, বিপিএম। বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন বিভাগে তিনি পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্বপালন করেছেন।
এছাড়াও তিনি জাতিসংঘ শান্তি মিশনে কন্টিনজেন্ট কমান্ডার হিসেবে ডি আর কঙ্গোতে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। সে সময় তিনি জাতিসংঘ শান্তিপদকে ভূষিত হন। ২০১৭ সালে ভাল কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ আইজি ব্যাচ প্রাপ্ত হন।
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি বলেন, ‘পরিশ্রম করি, নিষ্ঠার সাথে কাজ করি, আর সে কাজের স্বীকৃতি পেলে অবশ্যই ভাল লাগার বিষয়। তবে আমার টিমওয়ার্ক রাজবাড়ী জেলা পুলিশের সকল সদস্যের কঠোর পরিশ্রমের ফসল এটি। তিনি বলেন বর্তমানে রাজবাড়ীর আইনশৃংখলা পরিস্থিতি খুবই ভালো, এক্ষেত্রে আমার টিম সার্বক্ষণিক আমার নির্দেশনায় কাজ করছে’।
তিনি পিপিএম-সেবা পদকের জন্য মনোনীত করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপিসহ সব ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সহকর্মী ও রাজবাড়ী জেলাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রসঙ্গত: রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক পাগলি সন্তান প্রসব করেছিলেন। এ খবর শুনে সদ্যজাত সন্তানকে দেখার জন্য হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন পুলিশ সুপার। সেখানে গিয়ে তিনি পরম মমতায় কোলে তুলে আদর করেন শিশুটিকে।
এই একটি ঘটনার মধ্যে দিয়েই এসপি মিলি প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন পুলিশ সবার জন্যে এবং তিনি সেই দায়িত্বটিই সযত্নে পালন করেছেন অক্ষরে অক্ষরে। একজন দরিদ্র বঞ্চিত অসহায় পাগলির সন্তান বলে তিনি তুচ্ছ তাচ্ছিল্য বা উপেক্ষা করেননি। বরং আইনগত বিষয়টিকে তিনি গুরুত্ব দিয়ে চরম মমতায় শিশুটিকে কাছে টেনেছেন। একই সাথে সন্তান এবং সন্তানের মায়ের নিরাপত্তায় যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন তিনি।