রাজশাহী : গত মঙ্গলবার ঢাকা যাওয়ার কথা ছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আখতার জাহানের। কিন্তু তিনি যাননি। পরে তার একমাত্র ছেলে সোয়াদ বারবার মোবাইলে চেষ্টা করেও তাকে পায়নি।
শুক্রবার দুপুরের পর বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করে সোয়াদ বিষয়টি জানায়।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কক্ষের দরজা ভেঙে আখতার জাহানের দেহ উদ্ধারের পর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মায়ের সাথে শেষ কথাটাও হলো না একমাত্র ছেলে সোয়াদের।
রাবির জুবেরী ভবনের ৩০৩ নম্বর কক্ষে একাই থাকতেন আখতার জাহান। জুবেরী ভবনের কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কয়েকদিন ধরে আখতার জাহানকে কেউ বাইরে দেখেনি।
শুক্রবার দুপুরে তার ছেলে অন্য শিক্ষকদের
মুঠোফোনে জানান, তার মাকে মুঠোফোনে পাওয়া যাচ্ছে না।
বিষয়টি অন্য শিক্ষকরা জানার পর জুবেরী ভবনে গিয়ে দেখেন ভেতর থেকে দরজা বন্ধ। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, পুলিশে এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষকরা গিয়ে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন।
ঘরের ভেতরে মশারির মধ্যে আখতার জাহানকে শোয়া অবস্থায় পাওয়া যায়। তার মুখের দু'পাশ দিয়ে লালা ঝরছিল।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি শাতিল সিরাজ জানান, আখতার জাহানকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রামেক হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহিনুল ইসলাম জানান, আখতার জাহানের মুখের ভেতরে ঝলসে গেছে। লালা বের হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- এসিড জাতীয় কিছু পান করে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। তবে ময়নাতদন্ত ছাড়া কিছু বলা সম্ভব নয়।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ বক্স ইনচার্জ এএসআই মনিরুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে আনার আগেই আখতার জাহানের মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ মর্গে রাখা হয়েছে।
৯ সেপ্টেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম