রাজশাহী : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই যে মোবাইল ফোন কে দিয়েছে? এটাও আওয়ামী লীগ সরকার দিয়েছে। ৯৬ সালে এসে মোবাইল বেসরকারি খাতে উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম। আজকে সবার হাতে মোবাইল ফোন।
তিনি বলেন, বিএনপি আমলে তো মোবাইল ফোন কেউ চোখে দেখেনি। কারণ, একটা মোবাইল ফোন কিনতে লাগত ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এক মিনিট কথা বললে দিতে হতো ১০ টাকা। ধরলেও ১০ টাকা, করলেও ১০ টাকা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজশাহীর আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করে। আমরা তত্ত্বাবধায়কের আমলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ট্রাস্ট করেছি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার তন্নতন্ন করেছে খুঁজেছে, সেখানে কোনো রকম অনিয়ম পায় কিনা? আমাদের কোনো মতে মামলাতে ফাঁসাতে পারে কিনা? এতটুকু অনিয়ম তারা সেখানে পায়নি। ভালো করে তদন্ত করে দেখেন, আমরা জনগণের জন্য কাজ করতে আসি। তাদের সম্পদ কেড়ে খেতে নয়।
বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা উন্নয়ন করি, তারা ধ্বংস করে। ২০২১ সালের মধ্যে কোনো ঘর অন্ধকার থাকবে না। সব ঘরে আলো জ্বালাব।’ তিনি বলেন, ‘এই উত্তরবঙ্গে এক সময় মঙ্গা ছিল। মানুষ খেতে পারত না। এখন আর সেই মঙ্গা নেই। মানুষ খেতে পারে।’
এরআগে বিকেল তিনটা ৫০ মিনিটে শেখ হাসিনা জনসভা মঞ্চে পৌঁছান। এ সময় নেতাকর্মীরা তাকে স্লোগানে স্লোগানে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রীও হাত নেড়ে তাদের শুভেচ্ছার জবাব দেন।
এরপর প্রধানমন্ত্রী রাজশাহীর ৩৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এ নিয়ে গেল ৭ বছর ২ মাসে পঞ্চমবারের মত রাজশাহী সফর করলেন প্রধানমন্ত্রী।
সর্বশেষ গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত পবার হরিয়ান চিনিকলের জনসভায় যোগ দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
জনসভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন এবং পরিচালনা করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার।
এতে আরও বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, মাহবুবউল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, রাজশাহী জেলা সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী প্রমুখ।
এমটিনিউজ/এসএস