নিউজ ডেস্ক : রাজশাহী মহানগরের মতিহার থানা এলাকায় এক ব্যক্তির সন্তানকে প্রাইভেট পড়াতেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। টিউশন ফি চুক্তি হয়েছিল মৌখিকভাবে। পড়ানো শেষে পাওনা টাকা চাইতে গেলে তিনি ওই ছাত্রীকে চুক্তির অর্ধেকেরও কম টাকা দেন।
ছাত্রী কম টাকা নিতে অস্বীকৃতি জানালেও ওই ব্যক্তি প্রভাবশালী হওয়ায় জোর করতে পারেননি। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি কষ্ট করে টিউশনি করিয়েও তার পাওনা না নিয়েই হোস্টেলে ফিরতে বাধ্য হন। বিষয়টি স্থানীয় কাউকে বলেও সুরাহা হয়নি।
বাধ্য হয়ে রাবির ওই ছাত্রী বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস উইং পরিচালিত বাংলাদেশ পুলিশের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে বার্তা পাঠিয়ে সহায়তা চান। পরে পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তৎপর হয়। পুলিশের মধ্যস্থতায় চুক্তি অনুযায়ী টিউশন ফি বুঝে পান বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী।
রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ পুলিশের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস) মো. সোহেল রানা এসব তথ্য জানান। ওই ছাত্রী এবং টাকা দিতে গড়িমসি করা ব্যক্তির নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ।
পুলিশ কর্মকর্তা সোহেল বলেন, ‘গত ২৪ ফেব্রুয়ারি মেয়েটি বাংলাদেশ পুলিশ অফিশিয়াল ফেসবুক পেজের ইনবক্সে এসএমএস পাঠিয়ে পুরো ঘটনা অবগত করে সহায়তা চান। এই বার্তা পাওয়ার পর মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস উইং সংশ্লিষ্ট থানার ওসিকে অবগত করে এবং বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নিতে নির্দেশনা দেয়। এর ফলে উভয়পক্ষের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে বিষয়টি সমাধান করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের অনেকেই টিউশনি করে নিজেদের পড়ালেখার খরচ চালান। তাই তাদের প্রতি সহযোগিতার মনোভাব প্রদর্শন করা উচিত। শিক্ষার্থীদের যে কোনো সৎ প্রচেষ্টা ও উদ্যমকে সবার সমর্থন জানানো উচিত বলে মনে করে বাংলাদেশ পুলিশ।’