এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় উৎপাদিত কয়েক ধরনের ফল এবার সুইডেনে পাঠানো হয়েছে। পেয়ারা ও বরইয়ের প্রথম চালান গত বৃহস্পতিবার ইতালি পাঠানো হয়। এবার এসব ফলসহ পেঁপে পাঠানো হয়েছে সুইডেনে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সফিউল্ল্লাহ সুলতান জানান, গত রোববার উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের সাদি এন্টারপ্রাইজের কার্যালয় থেকে ১০০ কেজি পেঁপে, ১০০ কেজি পেয়ারা ও ৫০ কেজি বরই (বলসুন্দরি) নেওয়া হয়। এরপর সেগুলো ঢাকার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় শ্যামপুর সেন্ট্রাল প্যাকিং হাউসে পাঠানো হয়। সেখানে মোড়কজাতের পর ঢাকার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বিএইচ ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে সোমবার সুইডেনে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার ঢাকার আরেক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স আদাব ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে এক টন পেয়ারা ও ১০০ কেজি থাই বরই ইতালিতে পাঠানো হয়। গত মৌসুমে এখানকার ৩০ টন আম ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে রপ্তানি করা হয়েছিল।
বিএইচ ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী রেজাউল করিম কল্লোল জানান, গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় যাত্রীবাহী বিমানে পেঁপে-পেয়ারা ও বরই সুইডেনে পাঠানো হয়েছে।
সাদি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী শফিকুল ইসলাম জানান, এবার ৫০ বিঘা জমিতে পেয়ারা, ৫০ বিঘা জমিতে বরই ও ২ বিঘা জমিতে গ্রিন পেঁপে চাষ করেছেন। এর মধ্যে উপজেলার চরাঞ্চলের পলাশীর প্রামে ৩০ বিঘা জমি ইজারা নিয়ে পেয়ারা ও পেঁপে চাষ করেছেন তিনি। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেয়ারা ৬০ টাকা, জাতভেদে প্রতি কেজি বরই ১০০ থেকে ১২০ টাকা এবং কাঁচা পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি দরে।
জানা গেছে, এক সময় পদ্মার চরের জমিতে তেমন কোনো ফসল আবাদ হতো না। এখন আম, বরই ও পেয়ারাসহ বিভিন্ন ফসল চাষ হচ্ছে। এ বছর বাঘা উপজেলায় ১৫০ হেক্টর জমিতে বরই, ৩০৪ হেক্টর জমিতে পেয়ারা ও ৭৪ হেক্টর জমিতে পেঁপে চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ বরই-পেয়ারা চাষ হয়েছে পদ্মার চরে।