আমানুল হক আমান : রাজশাহীর বাঘায় ঝড়ে ঝরে পড়া আম পাঁচ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। উপজেলার আড়ানী পৌরসভার চকরপাড়া ও গোচর মোড়ে বুধবার এই আম বিক্রি হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, জ্যৈষ্ঠের শুরুতে প্রখর রোতে আমের বোটা নরম হয়ে গেছে। এরপর ঝড়ে আম ঝরে গেছে। এই আম গ্রামের সাধারণ মানুষ ও বাগান মালিকরা কুড়িয়ে উপজেলার আড়ানী পৌরসভার চকরপাড়া ও গোচর মোড়ে পাঁচ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন।
উপজেলার আড়ানী গোচর গ্রামের বাগান মালিক সেলিম উদ্দিন বলেন, আমার আম বাগানে প্রতিটি গাছে পরিমাণমত আম আছে। প্রখর রোদ ও ঝড়ে আম ঝরে গেছে। এই আম গ্রামের মানুষ কুড়িয়ে ৪-৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করে।
উপজেলার পাকুড়িয়ার জোতনশী গ্রামের আম ক্রেতা ইয়ারুল ইসলাম বলেন, আমরা বরাবর ঝড়ে পড়া আম কিনে ঢাকার আবদুল্লাহপুর চালান করি। এই আম পাঁচ টাকা দরে প্রতিকেজি হিসেবে ক্রেতাদের কাছে থেকে ক্রয় করেছি।
আড়ানী গোচর গ্রামের আম বিক্রেতা রাসু মণ্ডল বলেন, আমি বাগান পাহারা দিয়ে থাকি। এখনো বাগান মালিক বাগানে নিয়োজিত করেনি। তবে মালিকরা মাচা তৈরি করার জন্য বলেছে। সেই মোতাবেক কিছু কিছু বাগানে পাড়ারা দেয়ার জন্য মাচা তৈরি শুরু করেছি। তবে মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে হঠাৎ ঝড়ে যে আম ঝরে পড়ছে, সেগুলো কুড়িয়ে বিক্রি করছি। আমি সাড়ে দিন মণ আম চার টাকা কেজি হিসেবে ৪২০ টাকায় বিক্রি করেছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, প্রচণ্ড রোদের কারণে আমের বোটা নরম হয়ে যাওয়ায় একটু বাতাসেই আম ঝরে যায়। এই আম বাজারে বিক্রি হচ্ছে। উপজেলায় আট হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। হেক্টরপ্রতি ১৩ দশমিক ২০ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই ঝড়ে তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে যে আম ঝড়ে পড়েছে, সেই আমের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না বাগান মালিকরা।- যুগান্তর