রাজশাহীত : ঝাঁকে ঝাঁকে কাক মরায় রাজশাহীবাসীর মনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। রাজশাহী নগরীতে মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে কয়েকশ’ কাকের মৃত্যু হয়েছে। নগরীর বিভিন্ন অঞ্চলে কাকের মৃত্যু হলেও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল ক্যাম্পাসেই মৃত্যুর সংখ্যা বেশি।
প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক কাকের মৃত্যু হলেও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নেই। মৃত্যুর কারণ সম্পর্কেও সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্তাব্যক্তিরা সদুত্তর দিতে পারছেন না। এতে অজানা আতঙ্কে রাজশাহীবাসী।
কাকের মৃত্যুর সঙ্গে কোনো ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে কি না এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা কোনো তথ্য দিতে পারেননি। এর ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে অজানা ভয় এবং আতঙ্ক কাজ করছে।
কাকের মৃত্যুর কারণ খুঁজতে বিশেষজ্ঞ দল রাজশাহীতে এলেও এর কোনো প্রতিকার না দিয়েই আলামত নিয়ে ফিরে গেছেন। কাকের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে শুক্রবার ঢাকা থেকে আসে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আরসিডিডিআরবির একটি বিশেষজ্ঞ দল।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকে আলামত সংগ্রহ করেন দলের সদস্যরা। আলামত সংগ্রহ করলেও কাকের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি তারা।
বিশেষজ্ঞ দলের নেতৃত্বে ছিলেন আরসিডিডিআরবির পরিচালক রাজিব আহমেদ। তিনি এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি। মৃত কাক সংগ্রহ ও জীবিত কাকের রক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আলামত নেয়া হয়েছে। সংগ্রহকৃত এসব আলামত ঢাকায় ল্যাবে পরীক্ষা করা হবে। পরীক্ষার পর ভাইরাসের কোনো আলামত বা কোনো ধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত কি না তা জানতে পারলেই এর সমাধান আসবে।
রামেক হাসপাতালের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের অভিযোগ, গত কয়েকদিনে কয়েকশ’ কাকের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে মৃত্যুর হার আরো বেড়ে গেছে। উড়ন্ত কাক আকস্মিকভাবে মাটিতে ছিটকে পড়ছে। পড়েই এক থেকে দেড় মিনিটের মধ্যে মরে যাচ্ছে।
কাকের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন বলেন, আমরা এরই মধ্যে ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত কাকের নমুনা সংগ্রহ করে জয়পুরহাট প্রাণিরোগ গবেষণাগারে পাঠিয়েছি। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।
৭ ফেব্রুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম