রাজশাহী : স্থানীয়দের বুদ্ধিমত্তায় বড় ধরণের দুর্ঘটনার কবল থেকে রক্ষা পেল দুইটি ট্রেন। এর মধ্যে একটি ট্রেন মালবাহী এবং অপরটি যাত্রীবাহী। যাত্রীবাহী ট্রেনটিতে প্রায় ৫০০ যাত্রী ছিলেন। ফলে প্রাণে রক্ষা পেলেন তারা।
রোববার বিকেলে রাজশাহী মহানগরীর ওপর দিয়ে কালবৈশাখি ঝড় বয়ে যায়। অল্প সময়ের এ ঝড়েই রাজশাহীর বহু গাছপালা ভেঙে পড়ে। এর মধ্যে রাজশাহী মহানগরীর কাদিরগঞ্জ ও ভদ্রা এলাকায় দুটি গাছ ভেঙে পড়ে রেললাইনের ওপর। গাছগুলো পড়ার পর বেশ কিছুক্ষণ ওই অবস্থাতেই ছিল। পরে ওই দুই এলাকা দিয়ে দুটি ট্রেন গেলে লাল ফ্লাগ উড়িয়ে স্থানীয়রা ট্রেন দুটিকে থামান।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের চিফ ট্রেন কন্ট্রোলার আমজাদ হোসেন সরকার জানান, বিকেল ৪টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমনুরা থেকে রেলওয়ের তেলবাহী একটি এমটি ট্রেন রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে আসছিল। কিন্তু রেল স্টেশনের অল্প কিছু পশ্চিমে নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকায় ঝড়ে একটি গাছ রেললাইনের ওপর গিয়ে পড়ে।
এ সময় স্থানীয়রা ওই স্থানের আরো কিছু পশ্চিমে বর্ণালীর মোড় এলাকায় এমটি ট্রেনটিকে লাল ফ্লাগ দিয়ে সংকেত দেখান। তখন ট্রেনটি ধীরে ধীরে গতিরোধ করে গাছ থেকে একটু দুরে গিয়ে থেমে যায়। পরে খবর পেয়ে রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগের কর্মীরা গাছটিকে রেললাইন থেকে সরিয়ে ফেললে ট্রেনটি স্টেশনে প্রবেশ করে।
এদিকে, একই সময় ঝড়ে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের কিছুটা পূর্ব দিকে ভদ্রা এলাকায় একটি গাছ রেললাইনের ওপর গিয়ে পড়ে। ওই সময়ও পদ্মা এক্সপ্রেস নামে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন প্রায় ৫০০ যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন ছাড়ে। তখন ওই এলাকার বাসিন্দারাও লাল কাপড় উড়িয়ে ট্রেনটিকে আটকে দেন। ফলে একটুর জন্য বড় ধরনের দুর্ঘটনার কবল থেকে রক্ষা পদ্মা এক্সপ্রেস। পরে রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগের কর্মীরা ওই গাছটিকেও রেললাইন থেকে সরিয়ে নেয়।
আমজাদ হোসেন সরকার আরো জানান, রেললাইনে গাছ পড়ার ঘটনায় দুটি ট্রেনই প্রায় ৩০ মিনিট আটকা ছিল। তবে বর্তমানে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
০২ মে, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস