এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : যশোরের চৌগাছায় যাত্রীবাহী বাস উল্টে নারীসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। রবিবার (২১ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চৌগাছা-যশোর সড়কের কয়ারপাড়া বাজারের কাছে এ ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয় মানুষের সহযোগিতায় আহতদেরকে উদ্ধার করে চৌগাছা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চৌগাছা বাসস্ট্যান্ড থেকে যশোরগামী বাসটি (যার নম্বর-যশোর-জ-০৪০০৭০) ছেড়ে আসে। সকাল সাড়ে ১০টার কাছাকাছি সময়ে কয়ারপাড়া বাজার সংলগ্ন পৌঁছলে যাত্রীবাহী বাসটির সামনের চাকা ফেটে বিকট শব্দ হয়। মুহূর্তেই বাসটি পাশের ধানি জমিতে উল্টে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী মহাদেব জানান, বাসটি উল্টে যাবার সাথে সাথে যাত্রীদের চিৎকার শুরু হয়। এ সময় স্থানীয়রা দ্রুত ঘনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করেন। মুহূর্তেই ফায়ার সার্ফিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন- উপজেলার হাজিপুর গ্রামের ইছাহক আলী (৬০), যাত্রাপুরের আশাদুল ইসলাম (৫০), আন্দারকোটা গ্রামের মিজানুর রহমান (৪৩), তারানিবাস গ্রামের শুভ ইসলাম (১৮), পুড়াহুদা গ্রামের রোজিনা খাতুন (৩০), পাতিবিলার গ্রামের আমজাত আলী (৫০) ও সাহিদা খাতুন (৫২), কয়ারপাড়া গ্রামের আবুল কাশেম (৬৬), ইছাপুর গ্রামের ইসমেতারা (৫০), পাশাপোল গ্রামের আমেনা বেগম (৪৫), পাচনামনা গ্রামের রাজিব হাসান (২৬), পেটভরা গ্রামের তুহিন (১৭), চাঁদপুর গ্রামের সাজেদা খাতুন (৪০), ধুলিয়ানী গ্রামের মগরেব আলী (৫০), মহেশপুর উপজেলার পুড়াদাহের আকলিমা খাতুন (৪০), জাহানারা খাতুন (৬০), যাদবপুরের শাহাজান আলী (৫০) ও বড়বাড়ি গ্রামের এনামুল হক (১৭)।
আহতদের মধ্যে হাসপাতালে পাঁচজন ভর্তি রয়েছেন। এ ছাড়া আশঙ্কাজক অবস্থায় দুজনকে যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে বলে দায়িত্বরত চিকিৎসক গোলাম রসুল জানান। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে বলে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে।
উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ রবিওল ইসলাম জানান, ঘটনা জানার সাথে সাথে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা চালায়। আহতদেও মধ্যে শুভ ইসলাম নামের একটি ছেলের পা আটকে যায়। তারপরও আমরা ভালোভাবে উদ্ধার করতে পেরেছি।
থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম সবুজ বলেন দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ সাধ্যমত উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নেয়। দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ মৃত্যুবরণ করেনি। ১৫-২০ জন আহত হয়েছেন বলে আমরা জেনেছি।