এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : কুড়িগ্রামের উলিপুরের গিদারি নদীর ওপর নির্মিত সেতুু পানির স্র্রোতে ধসে পড়েছে। উপজেলার পান্ডুল ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাগজীপাড়া গ্রামে সেতুটির অবস্থান। ১৫ দিন আগে সেতুটির পিলারের একাংশের মাটি পানির স্রোতে ধসে যায়। এ অবস্থায়ও ঝুঁকি নিয়ে সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন স্কুলের শিক্ষার্থীসহ সহস্রাধিক মানুষ চলাচল করত।
কিন্তু গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সেতুটি হঠাৎ করে ধসে পড়ে। এতে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে গিদারি নদীর দুই পারের পাঁচ গ্রামের মানুষ। গ্রামগুলো হচ্ছে আমভদ্র, চিকলীরপাড়, সাতগ্রাম, হিন্দুপাড়া ও কাগজীপাড়া।
কাগজীপাড়া গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, টানা বৃষ্টি ও স্রোতের কারণে এই সেতুর পিলারের নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে প্রথমে পিলারের অর্ধেক ধসে যায়, পরে পুরো সেতুটি ধসে পড়ে।
চিকলীরপাড় গ্রামের আবেদ আলী, তারা মিয়া, মনিকা বালা জানান, স্বাধীনতার আগে সেতুটি তৈরি। এটি ভেঙে পড়ায় কৃষিপণ্য ও দোকানের মালপত্র আনা-নেওয়া করতে প্রায় দুই কিলোমিটার ঘুরে আসতে হচ্ছে। একই গ্রামের সহিদুল ইসলাম লিটন বলেন, কিছুদিন আগে পাউবো নদীটি খনন করে। এ কারণে পানির স্রোতে সেতুটি ধসে পড়েছে।
কাগজীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছালমা বেগম ও মনিকারাণী জানায়, তারা এ সেতুর ওপর দিয়ে স্কুলে যায়। সেতু ভেঙে পড়ায় তাদের এক কিলোমিটার ঘুরে স্কুলে যেতে হবে।
ইউপি সদস্য মো. শাহিন মিয়া বলেন, ‘সেতুটি ধসে পড়ায় পাঁচ গ্রামের মানুষের চলাচলে সময় ও অর্থের অপচয় হচ্ছে।’ কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে নদী খনন প্রকল্পের ব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সেতুর উভয় পাশে ২৫ মিটার জায়গা ফাঁকা রেখে নদী খনন করা হয়েছে। খনন প্রকল্পের কারণে নয়, সেতুটি পুরনো হওয়ায়ই পানির স্রোতে ধসে পড়েছে।
পান্ডুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘সেতু ধসে পড়ার বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে। আপাতত বাঁশের মাচা দিয়ে লোকজনের চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে।’
সেতুটি পুনর্নির্মাণের জন্য বরাদ্দ চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে জানিয়ে উপজেলা প্রকৌশলী কে কে সাদেকুল আলম বলেন, বরাদ্দ এলেই সেতুটির পুনর্নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।