সিলেট : সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের কুতুবপুর গ্রামের শাওন হোসেন। শখের বশে কবুতর পালন শুরু করে গড়ে তুলেছেন বিশাল খামার। কবুতরের মায়ায় পড়ে বাতিল করলেন যুক্তরাষ্ট্র যাওয়া।
সফল কবুতর খামারি শাওনের খামারে আছে বিভিন্ন জাতের মূল্যবান কয়েকশ’ কবুতর। যার মধ্যে গিরীবাজ, পোটার, গোল্ডেন সুইট, সিরাজি কিং অন্যতম।
শাওনের বাড়িতে বিভিন্ন গাছে কবুতরের কাঠের খুপড়ি বাঁধা। তাতে চলে কবুতরের উড়াউড়ি বিশ্রাম। দুই একরের বাড়িজুড়ে বাকবাকুম শব্দের আওয়াজ।
কবুতরগুলো যখন উড়াল দেয় মনে হয়- হেলিকপ্টার যাচ্ছে। শাওন জানান, দিনরাত লোকজন কবুতর দেখতে আসেন। কেউ কেউ আবার কিনতেও আসেন। এখানে ১০০০ থেকে ২০০০০ টাকা দামের কবুতরও আছে।
মাসে কি পরিমাণ আয় হয় এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ২০০৮ সালে কয়েক হালি কবুতর দিয়ে শুরু করে আস্তে আস্তে বাড়াতে থাকি। এক সময় কবুতর বেশি হয়ে গেলে বিক্রি শুরু করি।
২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাবা শাওনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার ব্যবস্থা করেন, কিন্তু কবুতর খামার ব্যাপক আকার হওয়ায় মায়ায় পড়ে যাবেন না তিনি।
এ পর্যন্ত কবুতরের জন্য দুটি পাকাঘর বানিয়েছেন যাতে মূল্যবান কবুতরগুলো থাকতে পারে সেই ঘরে। বাকিগুলো গাছে, বারান্দায়। শাওন জানান, এ খামার লাভজনক।
তবে জীবানু মুক্ত রাখতে পারলে কোনো সমস্যা হয় না। নিয়মিত ওষুধ, ভেক্সিন দিলে নিরাপদ হওয়া যায় কিন্তু সমস্যা হলো স্থানীয় ফেঞ্চগঞ্জে কবুতরের খাবার ও ওষুধ পাওয়া যায় না, বলেন শাওন।
শাওন মনে করেন, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে কবুতর থেকে ব্যাপক আয় করা সম্ভব। সেই সাথে নিরসন হবে বেকারত্ব।
২৬ সেপ্টেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম