'শিক্ষকরা সম্মানিত ও সর্বোচ্চ শ্রদ্ধার যোগ্য'
রাহিব ফয়ছল, সিলেট প্রতিনিধিঃ শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি বলেছেন- শিক্ষাক্ষেত্রে সিলেট অঞ্চল পিছিয়ে ছিল। মোট শিক্ষার্থী, মোট পরীক্ষার্থী, এমন কী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যার দিক দিয়েও আমরা অনেক পিছিয়ে ছিলাম। তবে সরকারের কার্যকর উদ্যোগের ফলে অবস্থার দ্রুত পরিবর্তন ঘটছে।
নারী শিক্ষার অগ্রগতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নারী শিক্ষায় বাংলাদেশের অগ্রগতি আজ সারা দুনিয়ায় ব্যাপক প্রশংসিত। তিনি বলেন-শিক্ষার গুণগত মান বাড়াতে মানসম্পন্ন শিক্ষক প্রয়োজন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশ পিছিয়ে রয়েছে। আমাদের বেসরকারী স্কুলগুলোতে যারা শিক্ষকতা করছেন তাদের বেশির ভাগই এসেছেন অন্যক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়ে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ আয়োজিত প্রথম কেমুসাস শিশু-কিশোর মেলা, বইপাঠ ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন আরো বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে সিলেট অনেক অনেক পিছিয়ে পড়েছিল। আমি ৯৬ সালে এবং ২০০৮ সালে দায়িত্ব লাভের পর অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি। এ কাজে সিলেটের শিক্ষাবিদসহ সর্বস্তরের জনগন সার্বিক সহযোগিতা করেছেন। ফলে অবস্থার দ্রুত পরিবর্তন ঘটছে। সিলেট এখন বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের প্রায় সমানই বলা যায়।
শিক্ষার গুণগত মান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শিক্ষার মান বাড়াতে প্রয়োজন সব মহলের আন্তরিক সহযোগিতা । তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করে বলেন, অবস্থা পাল্টাচ্ছে। আস্তে আস্তে মানসম্পন্ন শিক্ষকের অভাব পূরন হলে শিক্ষার মানও বাড়বে।
এসময় অষ্টম ঘোষিত জাতীয় বেতন কাঠামো নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলন প্রসঙ্গে মন্তব্য করে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, বিষয়টি সমাধানে সরকারের পক্ষ থেকে কমিটি ও সচিবদের দিয়ে একটি ‘টাস্কফোর্স’ কাজ করে যাচ্ছে। আজ (শুক্রবার) এ ব্যাপারে তিনি সংশ্লিষ্টদের কথা বলেছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন শিক্ষকরা সম্মানিত ও সর্বোচ্চ শ্রদ্ধার যোগ্য।
তাদেঁর সম্মানহানি যাতে না হয় সে বিষয়টি মাথায় রেখেই সরকার কাজ করে যাচ্ছে তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শিক্ষকদের সাথেও কথা বলা হচ্ছে। এর মাধ্যমে শীঘ্রই একটি গ্রহণযোগ্য একটি সমাধান বের হয়ে আসবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
শহীদ সুলেমান হলে আয়োজিত এ অনুষ্টানে সভাপতিত্ব করেন মুসলিম সাহিত্য সংসদের সভাপতি প্রফেসর মো. আব্দুল আজিজ। অনুষ্টানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন আহমদ মাহবুব ফেরদৌস।
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর মো. আব্দুল আজিজ বলেন, কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ সাহিত্য ও সংস্কৃতির একটি কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে নতুনপ্রজন্মকে আগামীদিনের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন সংসদের সাবেক সভাপতি ভাষা সৈনিক অধ্যক্ষ মাসউদ খান, সাহিত্য সংসদের সহ সভাপতি আ.ন.ম শফিকুল হক, গবেষক আব্দুল হামিদ মানিক, মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মুজিবুর রহমান চৌধুরী, সহ সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাহমুদ রাজা চৌধুরী প্রমুখ।
৯ জানুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস
�