শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট থেকে : অবশেষে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির কাউন্সিলের তারিখ ঘোষিত হয়েছে। ৬ ফেব্রুয়ারি উভয় শাখার কাউন্সিল অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। একই দিনে জেলা ও মহানগর শাখার কাউন্সিলের তারিখ ঘোষিত হওয়ায় গোপন ব্যালটের মাধ্যমে কমিটি গঠন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে নেতা-কর্মীদের মাঝে।
তাদের ধারণা, একই দিনে দুই শাখার কাউন্সিল সম্পন্ন করে কমিটি গঠন সম্ভব নয়। আর কাউন্সিল না হলে অতীতের মতো কেন্দ্র থেকে কমিটি চাপিয়ে দেওয়া হবে। এতে গুরুত্বপূর্ণ পদে বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে সক্রিয় থাকা নেতা-কর্মীদের চেয়ে সুযোগসন্ধানীরাই বেশি প্রাধান্য পাবেন।
বর্তমানে আহ্বায়ক কমিটি দিয়েই চলছে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি। তিন মাসের আহ্বায়ক কমিটি এক বছরের বেশি সময় পার করলেও সম্মেলনের আয়োজন করতে পারেনি। অবশেষে সম্মেলন ও কাউন্সিলের জন্য ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়। কেন্দ্রের তাগিদের পর উভয় শাখার নেতারা বৈঠক করে ৬ ফেব্রুয়ারি কাউন্সিলের তারিখ নির্ধারণ করেন।
এদিকে, গত বছরের ৫ জানুয়ারি-পরবর্তী আন্দোলনে জেলা ও মহানগর শাখার বেশির ভাগ শীর্ষনেতা আত্মগোপনে থাকায় তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা বিচ্ছিন্নভাবে দলীয় কর্মসূচি পালন করেন। রাজপথে সক্রিয় থাকা মধ্যম সারির নেতারা গ্রেফতার ও মামলার আসামি হলেও শীর্ষনেতারা ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। ফলে জেলা ও মহানগরের শীর্ষনেতাদের ওপর থেকে আস্থা হারান তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।
নেতৃত্ব পরিবর্তনের জন্য তারা কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি গঠনের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু একই দিনে দুই শাখার কাউন্সিলের তারিখ ঘোষিত হওয়ায় ভোটের মাধ্যমে কমিটি গঠন নিয়ে তারা শঙ্কায় রয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিলেট মহানগর বিএনপির এক নেতা বলেন, আলাদা তারিখে কাউন্সিল হলে ভোটের মাধ্যমে কমিটি গঠন সম্ভব ছিল। নেতা-কর্মীরা গোপন ব্যালটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচনের সুযোগ পেতেন। এতে বিগত দিন আন্দোলন-সংগ্রামে নিষ্ক্রিয় অনেক শীর্ষনেতাই কাঙ্ক্ষিত পদপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হতেন।
তাই সুযোগসন্ধানী নেতারা ষড়যন্ত্র করেই একই দিনে দুই শাখার কাউন্সিলের তারিখ নির্ধারণ করেছেন; যাতে বক্তব্য পর্বে সময় পার করে কাউন্সিল অসমাপ্ত রেখে কেন্দ্রীয় নেতারা ঢাকায় ফিরে যান। পরে সেখান থেকে কমিটি ঘোষণা করা হয়। -বিডি প্রতিদিন
২৮ জানুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ/এসএস/এসবি