আন্তর্জাতিক ডেস্ক: হোয়াইট হাউজ থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে একটি ৮,২০০ বর্গফুটের বাড়ি ‘লকহার্ট হাউজ’। সামনেই মুক্ত বাগানের ছোঁয়া, সবুজে মাখামাখি। বাড়িটার উঠানে এতটাই প্রশস্ত জায়গা যে ৮-১০টি গাড়ি অনায়াসে সেখানে থাকতে পারে।
ওয়াশিংটন শহরের বাড়িভাড়ার হার অনুযায়ী এ বাড়িটার মাসিক ভাড়া প্রায় ২২ হাজার ডলার। শান্ত, ছিমছাম পরিবেশের এমন বাড়ির বিক্রয়মূল্য তা প্রায় ৭ মিলিয়ন ডলার তো হবেই। ২০১৪ সালে বাড়িটা যখন বিক্রি হয়েছিল তখন এর দাম ছিল ৫ মিলিয়ন ডলার।
প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন ও হিলারি ক্লিন্টনের ওয়াশিংটনের বাড়িটি আবার এই ‘লকহার্ট হাউজ’ থেকে প্রায় ঢিল ছোড়া দূরত্বেই। আপাতত এই শান্ত, সুন্দর বাড়িটিকে ঘিরে শুরু হয়ে গেছে তুমুল ব্যস্ততা। অহরহ মার্কিন নিরাপত্তারক্ষীরা নজরদারি করছেন সেখানে। নানারকম তদারকি শুরু হয়ে গেছে তাঁদের। সংলগ্ন রাস্তার পার্কিং নিয়ম পাল্টে দেয়া, বাড়িটিতে বুলেটপ্রুফ কাঁচের জানালা-দরজা বসানো, পড়শিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা- বলতে গেলে কোনোটিই আর বাকি নেই!
কিন্তু কেন? হোয়াইট হাউজের বাসিন্দা বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার নাকি লকহার্ট হাউজেই থাকতে চলেছেন। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে তিনি হোয়াইট হাউজ ছাড়ছেন। তাঁর ছোট মেয়ে সাশার পড়াশোনার তখন মাঝপথ। মাঝপথে মেয়ের হাইস্কুল ছাড়া বেশ কঠিন বলেই ওবামা এখনই ওয়াশিংটন ছাড়ছেন না।
তাই বেছে নেয়া হয়েছে লকহার্ট হাউজ। বাড়িটা বেশ পুরনো। ১৯২৮ সালে তৈরি। বাড়িটা বিক্রির সময় অনেক কিছুই নতুন করে তৈরি করা হয়েছে। বিশেষ করে যখন জানা গেছে সপরিবার স্বয়ং ওবামা এখানে থাকতে চলেছেন। অবশ্য বাড়িটার মালিক জো লকহার্ট অবশ্য এ নিয়ে কিছু বলতে চাননি। বলে রাখি, তিনিও হোয়াইট হাউজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। জো লকহার্ট প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের প্রেস সেক্রেটারি ছিলেন।
১৬০০ পেনসিলভানিয়া অ্যাভিনিউয়ের হোয়াইট হাউজ ছেড়ে ওবামা ও তাঁর পরিবারের এই নতুন বাড়িতে কেমন লাগবে? লকহার্ট হাউজে মোট ৯টি শোবার ঘর, আর ৮টির মতো বাথরুম। বসার ঘর, খাওয়ার ঘর বা সিঁড়ির নীচের আড্ডার ঘর। ওবামা পত্নী মিশেলের মায়েরও এই বাড়িতে থাকতে ভাল লাগবে আশা করা যাচ্ছে। তিনি এই ওবামা পরিবারের সঙ্গেই বছরের পর বছর আছেন।
আপাতত পড়শিরা দেখছেন গোটা এলাকার চেহারা অনেকটা পাল্টে যাচ্ছে। রাস্তা, পার্ক সব জায়গাতেই ইলেকট্রনিক মেশিনের কড়া নজরদারি। প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় যাতে কোনো ত্রুটি না হয়, সেদিকে প্রহরীদের কড়া নজর!-আজকাল
২৬ নভেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সবুজ/এসএ