সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১০:২৯:৫৫

নিরাপদে পালানোর সুযোগ চাইছে মিয়ানমারের ৫ লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা

নিরাপদে পালানোর সুযোগ চাইছে মিয়ানমারের ৫ লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধদের নির্যাতনের মুখে মিয়ানমারের ১০ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে প্রায় ৪ লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। এখনো যারা আছে তারা কর্তৃপক্ষের কাছে নিরাপদে দেশ ছেড়ে পালানোর সুযোগ চাইছে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে আরব নিউজ।

সম্প্রতি দেশটির উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যটিতে এখন খাদ্য সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, টেলিফোনের মাধ্যমে রাখাইন রাজ্যের নাউক পাইন গ্রামের এক রোহিঙ্গা কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা শীঘ্রই খাবার সংকটে পড়বো। তারা আমাদের ঘর-বাড়িগুলো পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে।’

একই গ্রামের অন্য এক রোহিঙ্গা বলেন, ‘বৌদ্ধদের একটি দল আমাদের গ্রামে প্রবেশ করে হুমকি দিয়েছে- এলাকা ছাড়ো, নয়তো আমরা তোমাদের খুন করবো।’

সাম্প্রতিক সহিংসতা শুরু হওয়ার আগে রাখাইনে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গার বসবাস ছিলো বলে জানা গেছে। এসব রোহিঙ্গা মিয়ানমারের নাগরিক সুবিধা থেকে একেবারেই বঞ্চিত ছিলো। মিয়ানমারে বেশ কিছু অঞ্চলে যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা ছিলো রোহিঙ্গাদের উপর। এছাড়া দেশটির বৌদ্ধরা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ করা অবৈধ অভিবাসী হিসেবে আখ্যায়িত করতো তাদের।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, মিয়ানমার থেকে ইতোমধ্যেই প্রায় ৪ লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। জাতিসংঘ এই অবস্থাকে জাতিগত নিধনযোগ্য হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

রাখাইনের রাজ্যের সচীব টিন মং সুয়ে রয়টার্সকে রোহিঙ্গাদের পালানোর সুযোগ চাওয়া প্রসঙ্গে বলেন,এ প্রসঙ্গে এখনো তিনি বিস্তারিত জানতে পারেননি।

প্রসঙ্গত, গত ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের উপর জাতিগত নিধনযজ্ঞ শুরু হওয়ার পরই থেকেই ওই গ্রামটি আশ-পাশের এলাকা থেকে একেবারেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরকম আরও অসংখ্য রোহিঙ্গা গ্রামের মানুষ মিয়ানমারে মূল জনগোষ্ঠী থেকে একেবারে আলাদা হয়ে গেছে। বেশ কিছু গ্রামে চরম খাদ্য সংকটে দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় মিয়ানমারে অবশিষ্ট রোহিঙ্গারাও দেশটি ত্যাগ করতে চাইছে। তবে, পথিমধ্যে যেন তাদের হত্যাযজ্ঞের শিকার হতে না হয় তার নিশ্চয়তা চাইছে তারা।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে