আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কয়েক সপ্তাহের বিক্ষোভের পর সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরকে ক্ষমতাচ্যুত করেছেদেশটির সেনাবাহিনী। কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থার মধ্যে নির্জন কারাবাসে রাখা হয়েছে বশিরকে। ৩০ বছর ধরে দেশ শাসন করে আসা ওমর আল বশিরের পতন হয় গত সপ্তাহে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলেছেন, সুদানের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশির স্বাধীন নীতি অনুসরণ করতেন। তিনি পশ্চিমা ‘অর্থনৈতিক স্বৈরতন্ত্রের’ নির্দেশনা অনুসরণ করতেন না। দেশটিতে সম্প্রতি যে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটেছে তা হয়েছে পশ্চিমা ও কয়েকটি আরব দেশের স্বার্থে।
এ দেশগুলো সুদানের প্রাকৃতিক সম্পদ কব্জা করতে চায়। বিশেষজ্ঞরা গত সোমবার আনাদোলু বার্তাসংস্থাকে এ কথা বলেছেন। রাশিয়ান একাডেমি অব সায়েন্সের ওরিয়েন্টাল স্টাডিজ ইনস্টিটিউটের বরিস ডলগোভ বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো ওমর আল-বশিরকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য দীর্ঘ দিন ধরে চাপ প্রয়োগ করে আসছিল।
তিনি বলেন, সুদান বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ একটি দেশ। অনেক পশ্চিমা দেশে এমন সম্পদ নেই অথবা থাকলেও তারা তাদের ওই সম্পদ খরচ করে ফেলেছে। এসব দেশ সুদানের এ সম্পদ দখলের চেষ্টা করছে। এই একই প্রকল্পের অংশ হিসেবে এক সময়ের আফ্রিকার সব চেয়ে বড় দেশটিকে বিভক্ত করা হয়েছে। যার ফল এখন দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।
ডলগোভ বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো ইতোমধ্যে দক্ষিণ সুদানের সম্পদ কব্জা করতে শুরু করেছে। এখন সুদানের পালা। বর্তমান সেনাবাহিনী পশ্চিমাপন্থী হওয়ায় শিগগিরই আমরা জানতে পারবো যে, দেশটিতে খনিজ সম্পদ উত্তোলনে পশ্চিমা কোম্পানিগুলোকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। বশির যদিও একজন ‘বিতর্কিত ব্যক্তি’ ছিলেন তথাপি তিনি চাপ সত্ত্বেও ‘স্বাধীন নীতি’ অনুসরণ করতেন।
তিনি বলেন, পাশ্চাত্য বশিরকে একঘরে করে রেখেছিল। এমনকি আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত তাকে ফেরারি ঘোষণা করেছিল। বহুবার দেশটির ওপর তারা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছিল ফলে দেশটির অর্থনীতির অবনতি ঘটে। একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে ওরা এসব কিছুই করেছিল।